Story
খাট, আলমারি, ডাইন-ইন টেবিল- না, না! যৌতুকের লিস্টি ধরাচ্ছি না। বরং নিজের ঘরকে নিজের মনমাফিক সাজানোর প্রয়োজনীয় জিনিসের লিস্টি দিচ্ছি। কাঠের তৈরি এইসব জিনিস একেবারে জলের দরে কোথায় পাবেন জানেন?
ফুলের নামে পাশকুঁড়ার একটা পরিচিতি আছে ঠিকই। কিন্তু কোটি কোটি টাকার ইন্ডাস্ট্রিও যে এই জেলায় গড়ে উঠেছে, সেই খবর কতজনই বা রাখেন? যেখানে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। যে শিল্পের টানে ঘরমুখো হয়েছেন মেদিনীপুর জেলার হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক।
প্রতিদিন গাড়িগাড়ি কাঠের আসবাবপত্র পাড়ি দিচ্ছে পাঁশকুড়া থেকে। এলাকার জিনিসপত্র প্রতিদিন পাড়ি দেয় বাংলা সহ বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে। এক্সক্লুসিভ ডিজাইন, তৈরির পদ্ধতি, কাঠের কোয়ালিটি নিয়ে একেবারে একঘর জিনিসপত্র এখানকার। রোজগার যত বাড়ছে, ততই যেন শিল্পীদের ভিড় বাড়ছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে। জাঁকিয়ে বসছে ব্যবসা।
রোজগার বেশি। তাই কাঠের কাঠ ছেড়ে এখন আর ভিন রাজ্যে বা ভিন দেশে যেতে হয় না এখানকার শিল্পীদের। নিজের ঘরে বসেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন তারা। তাদের তৈরি জিনিসের কদর বাড়ছে বিদেশে। শুধু একটাই চ্যালেঞ্জ।
বাড়ছে চাহিদা। বাড়ছে রোজগার। বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি কছে পাশকুঁড়ার এই কাঠ শিল্প। আর তাই কাঠ শিল্পের হাত ধরে মজবুত হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের অর্থনীতি।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর