Trending
হেরে গেলে কি তাহলে আবার ফেরত যাবেন সেটে? ছেড়ে দেবেন রাজনীতি রচনা ব্যানারজি? প্রশ্নটা ঘুরতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। কারণ দিদি নম্বর ওয়ান থেকে এখন তিনি দিদি নম্বর টু পজিশনে। হ্যাঁ, কারণ রাজনীতির উঠোনে দিদি নম্বর ওয়ান তো আর রচনা নন। মমতা। তাই দিদি নম্বর টু এখন হুগলীর মাটি কামড়ে উন্নয়নের দিশা খোঁজা চেষ্টা করছেন। দেখতে পাচ্ছেন ধোঁয়া…
(মিম)
হাসি, ঠাট্টা, তামাশা সবই হচ্ছে। তারপরেও কিন্তু রচনা নিজের জায়গাটি একটুকরো ছাড়েন নি। কেন? তিনি মনে করেছেন, এই যে ধোঁয়া দেখা গেছিল যা নিয়ে তাঁকে হাসি, তামাশার মধ্যে পড়তে হয়েছে তার প্রত্যুত্তর তিনি দেবেন। তাই একেবারে জমিতে দাঁড়িয়ে “ঐ দেখা যায় কালো ধোঁয়া” বলে চিমনির দিকে ইশারা করেছেন।
(মিম)
মুশকিলটা হচ্ছে, রচনা ব্যানারজি যাকে অনেকেই সেটে দেখে অভ্যস্ত, যার ভোট পলিটিক্সে নেট প্র্যাকটিস পর্যন্ত নেই, সেই তিনি আচমকা নেমে পড়লেন শুধু দিদির কথায়! মানে মমতা ব্যানারজির কথায়! হুগলী জেলার শিল্প, সম্ভাবনাময় শিল্প এগুলো নিয়ে তিনি কতটা জ্ঞাত? তবে হ্যাঁ, একটা বিষয় কিন্তু ঠিক। লকেট যদি অভিনেত্রী হয়ে এখন ধীরে ধীরে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে পারেন তাহলে রচনা কেন পারবেন না? রচনার ক্যারিশ্মা কোথায় কম? কিন্তু শুধু ক্যারিশ্মা দিয়ে কি আর রাজনীতি হয়? সেদিক থেকে দেখতে গেলে তো মিমি, নুসরত সবাই নেমেছিল এই ফিল্ডে। কিন্তু এখন তাঁরা সকলেই রিটায়ার্ড হার্ট। সিনেমাতেও যে খুব ঘনঘন লক্ষ্য করা যাচ্ছে এমনটাও নয়। তাহলে রচনা নিজে কি চাইছেন? অভিনয় নাকি পলিটিক্স? সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, ঘুঘনি-পাত পেড়ে খাওয়া এগুলো মুখ্য?
আসলে কি জানেন তো মানুষ বড় বিচিত্র। তাঁরা কি চায়, কেউ জানেন না। এমনকি নিজেরা পর্যন্ত জানেন না। কারণ একটা সমীক্ষা বলছে, বাংলায় নাকি সুইং ভোটারের সংখ্যা কম নয়। মানে যারা শেষ মুহূর্তে গিয়ে বদলে ফেলতে পারেন নিজের চিন্তা। মানে ছিলেন তৃণমূল হলেন বিজেপি। ছিলেন রাম, হঠাৎ হলেন বাম। একেবারে ইভিএমের সামনে গিয়ে…তার জন্য একেবারে শেষ দফা পর্যন্ত পলিটিকাল পার্টিগুলো তুমুল প্রচার করে। কেউ তোলেন উন্নয়নের খতিয়ান আর কেউ তোলেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। তবে রচনা ব্যানারজি হুগলী থেকে জিতলে হুগলীবাসীর জন্য কী করবেন জানেন?
(দিদি নম্বর ওয়ানে হুগলীর দিদিদের ডাকব- মিম)
রচনা ব্যানারজির কাছে কি আজ দিদি নম্বর ওয়ানের সেট-টা শুধু স্টুডিও-র মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই? গোটা হুগলীই আজ দিদি নম্বর ওয়ানের সেট হয়ে উঠল? যদি সেটাই হয় আর হুগলীর মানুষ যদি সেই আশাতেই রচনাকে জিতিয়ে দেন, তাহলে অন্য ব্যপার। কিন্তু হেরে গেলে কি আবারও তিনি ফিরে যাবেন দিদি নম্বর ওয়ানের সেটে? নাকি হুগলীর মা, দিদিদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করার তাগিদ ধরে রাখবেন নিরলসভাবে? অন্তত সেই প্রচেষ্টা তাঁর থাকবে? মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে লাইক করুন, শেয়ার করুন। আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ