Trending
‘যতই নাড়ো কলকাঠি, নবান্নে সেই হাওয়াই চটি’- এটা শুধু আর দেওয়াল লিখনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। অথবা এটা শুধু কর্মীদের উজ্জীবিত করবে এমনটা নয়। কারণ মনে করা হচ্ছে, আবারও মাস্টার স্ট্রোক অলরেডি দিয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চৈত্র সেল শুরু হয়ে গেছে। আর সেল শুরু হতেই বিক্রি বাজার তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন এটার আসল কারণ মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেরই অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে ১ হাজার টাকা। নির্বাচনের আগে ৫০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার টাকা আর ১ হাজার টাকা যারা পেতেন, তাঁরা পাচ্ছেন ১২০০ টাকা। এপ্রিল মাস পড়তেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকে গেছে বাংলার মহিলাদের অ্যাকাউন্টে। ফলে চৈত্র সেলে বিক্রি এখন সেলিং লাইক হট কচৌরিজ। প্রকল্পের টাকা জমা পড়তেই দোকান বাজারে ধূম পড়েছে মহিলাদের কেনাকাটায়। চৈত্র সেলের শপিং-এ নাকি পুরুষের থেকে মহিলাদের ভিড় বেশি। কারণ টাকা ঢুকেছে সব মহিলাদের অ্যাকাউন্টেই। ফলে সেল শুরু হতেই বাজারে মহিলাদের কেনাকাটার ধূম পড়ে গেছে। আর এসবের জেরেই পরোক্ষভাবে তুমুল বিক্রি বেড়েছে বিক্রেতাদের। মানে চৈত্র সেলের বাজারে জোয়ার।
এমনিতে অনেকেই বলেন, নির্বাচনের প্রভাব পড়ে হাটে-বাজারে। বিক্রিবাটায় একটু ভাটা নামে। কিন্তু এবার যেন দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কৃপা করল বিক্রেতাদের। অবশ্য বিক্রেতার বিক্রি বাড়া নিয়ে বিরোধীরা তেমন সুর না চড়ালেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কটাক্ষ করছেন তাঁরা। বিরোধীরা বলছেন, মানুষের হাতে টাকা নেই। কারণ বাংলায় কর্মসংস্থানের কোন দুর্দান্ত রুট ম্যাপ নেই। শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে হাতিয়ার করে ভোট টানার চেষ্টায় তৃণমূল। তাঁদের বক্তব্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আসছে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে। রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে আসা মানে সেটা সাধারণ মানুষের টাকা। নির্বাচনের আগে আর বৈশাখী মরশুমের প্রাক্কালে চৈত্র সেলের বাজার এখন গরমাগরম। আর রাজ্যের একটা অংশের মানুষের সংসার চলে দৈনিক বিক্রিবাটার ওপরেই। ফলে মমতা শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়ে মহিলাদের মন জয় করেছেন এমনটা কিন্তু নয়। একইসঙ্গে সেই প্রভাব পড়েছে বিক্রি-বাটাতে। অতএব যতই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরোধীদের তর্জন গর্জন থাকুক, দিনের শেষে তাও আবার লোকসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাংলার ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই নিজেদের কাছে রেখে দিতে পারবে তৃণমূল। বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস এই রাজ্যে অনেকটাই পিছিয়ে থাকতে পারে। এখন আপনাদের কাছে জানতে চাইছি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জেরে এই যে এতো বিক্রি বাড়ছে এটা কি সত্যিই মমতার হাতেই থাকবে? নাকি ভোটের হাওয়ায় দেখা যাবে অন্য সমীকরণ? আপনাদের কি মনে হয়? সেটাই জানান কমেন্ট বক্সে। প্রতিবেদন লাইক করুন, শেয়ার করুন আর সাবস্ক্রাইব করুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ