লাখ কথার এক কথা। ফেলো কড়ি, মাখ তেল। টাকা দিলে টিকিট পাবে, নইলে ফক্কা। টাকা নেই, তাই নির্বাচনে লড়ার টিকিট পেলেন না আরামবাগের অপরুপা পোদ্দার।

ভোটের মুখে বিস্ফোরক আরাবাগের বিদায়ি তৃণমূল সাংসদ। অপরূপার মুখে টাকার প্রসঙ্গ! তাঁর এই টাকার অভাবের কথা জানতেন হুগলী জেলার রুরালের দুই মন্ত্রী। কার দিকে ইঙ্গিত করতে চাইলেন অপরূপা? পরোক্ষভাবে কী বোঝাতে চাইলেন তিনি?

দুদিন আগেই অর্থমন্ত্রীর অর্থসংকটের কথা সামনে এসেছিল। টাকার অভাবে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন খোদ দেশের অর্থমন্ত্রী। আর এবার সেই একই সুর শোনা গেল আরামবাগের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের গলায়। কিন্তু ভোটে লড়তে গেলে কোন প্রার্থীই তো সাধারণত নিজের সঞ্চয়ের অর্থের ভরসা করে না। প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াইয়ের যাবতীয় খরচ দল থেকেই করা হয়ে থাকে। তাহলে দেশের অর্থমন্ত্রীই বলুন বা আরামবাগের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদের গলায় উল্টো সুর কেন?

ইলেক্টোরাল বন্ডের ফাঁস হওয়া তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি চাঁদা এসেছে বিজেপি ভাঁড়ারে। এবং বাকী রাজনৈতিক দলকে পিছনে ফেলে এই লিস্টের দুই নম্বরে নাম রয়েছে তৃণমূলের। যাদের ভাঁড়ারে কোটি কোটি টাকা, তারা খরচে অনীহা প্রকাশ করছেন কেন? আর দলকে পাশে না পেয়ে নির্মলা সীতারামন বা অপরূপা পোদ্দারের মুখে যে অর্থসংকটের সুর প্রকাশ্যে এল, তা কীসের ইঙ্গিত করছে?

আরামবাগ থেকে গত দুবারের সাংসদ হলেও এবারের লোকসভা ভোটে আর আরামবাগ থেকে অপরূপাকে প্রার্থী করেনি শাসক দল। তাঁর বদলে আরামবাগের টিকিট এসেছে মিতালী বাগের কাছে। প্রসঙ্গত, গেল বার ভোটে কার্যত কান ঘেঁষে বিজেপি-র বিরুদ্ধে জিতেছেন অপরূপা। এইবারে তাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করালে আরামবাগ তৃণমূলের হাতছাড়া হতে পারত, সেই ভয়েই কী টিকিট দেওয়া হল না অপরূপাকে? এই পরিস্থিতিতে কী নাম না করেই শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ ও বর্তমান প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হুগলী থেকে রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং বেচারাম মান্নাকে নিশানা করলেন অপরূপা?

ভোটে লড়ার খরচ বহন করে দল। তথ্য অন্তত সেই কথাই বলছে। তাহলে অপরূপার মুখে নিজস্ব অর্থের বিনিময়ে ভোটের টিকিট না পাওয়ার বিষয়টা সামনে এল কেন? টাকা না দিলে টিকিট পাওয়া যাবে না- নির্বাচনের টিকিটেও তবে ব্যবসার ছক কষছে শাসক দল? নির্বাচনের আগে অপরূপার অর্থাভাবের সুর দলকেই আবার ব্যাকফায়ার করবে না তো? কী মনে হয়? জানান কমেন্টবক্সে। সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।