Trending
ছিল লোকসানের দোহাই। ছিল কোভিড মহামারির অজুহাত। তাই বারবার দাবি উঠলেও রেলে সফর করা বয়স্ক যাত্রীদের ছাড় দিতে নারাজ ছিল ভারতীয় রেল। এরপরই চিচিং ফাঁক! আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে ভারতীয় রেলের পর্দাফাঁস। আর এটাই বিরোধী শিবিরের নির্বাচনে জেতার তুরুপের তাস। (আয়রনি সামাঝ রাহে হো?)
ঘেঁটে গেলেন নাকি? দাঁড়ান বুঝিয়ে বলি। রেলে সফররত প্রবীণরা একটা বিশেষ ছাড় পেতেন, সেকথা তো সকলের জানা। কিন্তু কোভিড মহামারির দোহাই এবং আর্থিক লোকসানের দোহাই দিয়ে ২০২০ সাল নাগাদ সেটা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর প্রবীণ যাত্রীদের ছাড় বাতিল করে গত চার বছরে রেলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একেবারে উপচে পড়ার মতো অবস্থা। নগদ ৫,৮০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে রেলের। মানে প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি টাকা। আর এই তথ্যই এখন নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের গলার কাঁটা। নির্বাচনের আগে সেই তথ্য সামনে আসতেই বেড়েছে অস্বস্তি। ফলে ফের চর্চায় উঠে এল সেই আর্থিক সুবিধা ফেরানর দাবি। যা কিনা এখন বিরোধীদের নির্বাচনে জেতার জাদুকাঠি।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, রেল এমনিই সাধারণ মানুষকে ছাড় দিয়ে থাকে। কোন গন্তব্যের ভাড়া যদি ১০০ টাকা হয়, সেক্ষেত্রে রেল নেয় ৪৫ টাকা। মানে ৫৫% ছাড় দেয় ভারতীয় রেল। কিন্তু এটাও তো ঠিক, যে যাত্রী ভাড়া খাতে আয় বাড়াতে রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দীর মতো ট্রেনে টিকিটের ওপর ডায়নামিক ফেয়ার চালু করা হয়েছে। অনেকটা ঐ ফ্লাইটের টিকিটের মত। একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকিট বিক্রি হওয়ার পর ডিম্যান্ড অনুযায়ী ভাড়া বাড়ানো হয়ে থাকে। কাজেই, লোকসানের দোহাই দিয়ে রোজগারহীন প্রবীণ নাগরিকদের ভাড়ার ডিসকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়াটা কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
তা ভোটের আগে, সেটাকেই এখন তুরুপের তাস করা হচ্ছে কেন? ভোটে জিতলে ফিরবে রেলে সফররত প্রবীণদের ডিস্কাউন্ট। প্রতিশ্রুতি বিরোধীদের। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রীয় স্কিম রয়েছে। আর সেখানে একজন বয়স্ক মানুষ যাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আয়ের কোন উৎস নেই, তাদের আর্থিক সুবিধা পাওয়ার কোন অধিকার নেই? একেবারে সঠিক প্রশ্ন।
আসলে, সকলেই জানেন। ভোট বড় দায়। তাই ভোটের আগে শুধু প্রতিশ্রুতিটাই যায়। তবে সত্যিই যদি এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষেরই সুবিধা। কারণ এদেশের সিংহভাগ মানুষ দুরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করেন। আর তারমধ্যে প্রবীণদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। তবে প্রতিশ্রুতি সত্যি হয় কি না, সেটা সময় বলবে। এ বিষয়ে আপনাদের কি মতামত? জানান কমেন্টবক্সে। সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।