Trending
কে বলে কোলকাতায় কর্মসংস্থান নেই? চাকরির বাজার হাহাকার? কাজ খুঁজতে যেখানে জুতোর সোল ছিঁড়ে যায়, সেখানে চাকরি? এরপর থেকে কেউ এমন প্রশ্ন করলে তাকে এই ভিডিওটা দেখাতে পারেন।
কোলকাতার স্বপ্নপূরণ। বিশ্বমানের ডেটা সেন্টার হচ্ছে কোলকাতার নিউটাউনে। হ্যাঁ! সেই নিউটাউন। একসময় যে জায়গার নাম কেউ জানত না। ধূ ধূ ফাঁকা জমি। অত্যন্ত খারাপ কমিউনিকেশন। আর আজ সেই নিউটাউনের মাটিতে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মানের ডেটা সেন্টার! প্রায় ২৫০ একর জমির উপর হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে একটু একটু করে বড়ো হচ্ছে এই ডেটা সেন্টার। বাংলার স্বপ্নের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাব। যে সে ভাবে নয়। একেবারে ক্যালিফোর্নিয়ার আদলে।
কারা কারা বিনিয়োগ করেছে জানেন? কারা সেখানে বিনিয়োগ করেননি বলুন না! টাটা, রিলায়েন্স জিও, আদানি, এল অ্যান্ড টি, উইপ্রো, ইনফোসিস… আরও নাম শুনতে চান? তাহলে শুনুন রিলায়েন্স জিও-র হাত ধরে এবার কোলকাতার বুকে বসতে চলেছে মাইক্রোসফটের পেল্লাই অফিস। বিনিয়োগ? প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।
সম্প্রতি বেঙ্গল বিজনেস সামিটের মঞ্চ থেকে কোলকাতার ডেভেলপমেন্টের জন্য বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মিঃ আম্বানি। তবে তারপর এই বিষয়ে আর কোন উচ্চবাচ্চা শোনা গেল না ওয়াকিবহাল মহলের। কোলকাতার ডেভেলপমেন্টের খবর, আর সেটা সাইলেন্ট হয়ে যাবে? তড়িঘড়ি বিজনেস প্রাইম নিউজ তাই খোঁজ খবর শুরু করে। এবং ভাবুন আমরা কী খবর নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য! ঠিক ধরেছেন। সত্যিই কোলকাতায় বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ তো আম্বানি করছেনই। একইসঙ্গে বিল গেটসের মাইক্রোসফটকেও কোলকাতায় আনছেন তিনি।
কোলকাতায় বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাবের যে জায়গা কোলকাতায় রয়েছে এবং সেখানে একের পর এক যে বিনিয়োগ হচ্ছে এবং বড়ো বড়ো সংস্থা আসছে, তা দেখে বলাই যায় যে আগামী দিনে বিশ্বমানের ডেটা হাব হতে চলেছে কোলকাতা। রিলায়েন্স জিও এবং মাইক্রোসফটের মধ্যে একটা এগ্রিমেন্ট হয়। যেখানে বলা হচ্ছে, মাইক্রোসফটকে রিলায়েন্স জিও তার ওয়ার্কফরস প্রোভাইড করবে ক্লাউড বেসড প্রোডাক্টিভিটির জন্য। আর এই চুক্তির পর থেকে রিলায়েন্স জিও-র এক্সপানশন আরও বাড়তে থাকে।
বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাবে যে জায়গা রয়েছে সেখানে প্রায় ৪০ একর জায়গা বরাদ্দ রয়েছে জিও-র জন্য। রায় ৬ লক্ষ্য স্কয়ার ফিট জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই ডেটা সেন্টার। যার জন্য রিলায়েন্সের বিনিয়োগ রায় হাজার কোটি টাকা। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মিঃ আম্বানি বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করলেও তার সেই কমিটমেন্ট বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। তবে এবার রিলায়েন্সের ঘোষণায় প্রাণে যেন জল এল। শুধু এই রাজ্যের জন্য নয়, এটা ভারতবর্ষের প্রতিটা প্রান্তের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে একটা সুখবর।
দিল্লি, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর বা নয়ডা। কাজ খুঁজতে কোথাও যেতে হবে না বাংলার ঘরের ছেলে-মেয়েদের। বাইরের রাজ্য থেকেও প্রচুর ছেলেমেয়ে আসবে কাজের সন্ধানে খোদ কোলকাতায়। সংস্কৃতিক মেলবন্ধন তো তৈরি হবেই, পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট সেক্টরে যারা প্রপার্টি তৈরি করছেন, তাদের কাছেও একটা দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। এক কথায় ইনভেস্টরের সংখ্যা বাড়বে। বাড়বে রিয়েল এস্টেটে ইনভেস্টরের সংখ্যা বাড়বে। যা কোলকাতার জন্য নিঃসন্দেহে একটা গোল্ডেন ট্রাম্প কার্ড তো বটেই।
দিল্লি, মুম্বাই বা ব্যাঙ্গালোরের মতো অপরচ্যুনিটি যদি কোলকাতায় তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের জন্য যেমন ভালো তেমন রিয়েল এস্টেট সেক্টরেও ইনভেস্টমেন্ট যে বাড়বে, সে কথা আপনাদের আগেই বলাম। আর এটা ওভারঅল কোলকাতার ইকনমিক্যাল ডেভলপমেন্টের জন্য কত প্রয়োজনীয় সেটা আপনারাই ভেবে দেখুন।
সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।