মহুয়া কি তবে জয়েন করবেন বিজেপিতে? নাকি ইডির তাড়া খেয়ে এবার সটান যাবেন তিহারে? বিজেপির দ্বার রুদ্ধ নয়। তাই মহুয়ার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি দরজা খুলে রেখে দিয়েছে। ইডির হাত থেকে বাঁচতে হলে রয়েছে সটান ডাইভ দিতে হবে বিজেপির কোলে। সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী এবং বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র রিসেন্টলি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট করেছেন তারপর এই প্রশ্ন এখন শোনা যাচ্ছে হাওয়ায় হাওয়ায়- তাহলে কি এবার মহুয়া ধরবেন বিজেপির দ্বার!

দেখুন, সিপিএম-কংগ্রেস সহ বিরোধীরা বারবার বিজেপিকে একটি প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছে। নালিশের জায়গায় ঐ সারিতে রয়েছে তৃণমূল। এই দলগুলির বক্তব্য- নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি কার্যত ইন্ডিয়া নামক যে বিরোধী জোট রয়েছে, সেখানে আরও জট পাকাতে চাইছে। ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরের মত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের সরকার। যারা ভয় পাচ্ছেন তাঁরা মুখে রাগ পোষণ করছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। আর যারা ভয় পাচ্ছেন না তাঁরা এখন কয়েদখানায়। তার টাটকা উদাহরণ কেজরিওয়াল। বাম, কংগ্রেস সহ সকল বিরোধীদের বক্তব্য কেজরিওয়াল কোনভাবেই মাথা নত করতে চাননি। আর যে কারণে নির্বাচনের আগে তাঁর ঠাঁই হল তিহাড়ে। তিহাড় জেলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেজরিওয়ালের ওজন কমেছে সাড়ে ৪ কেজি। সুগার লেভেল ওঠানামা করছে। তবে জেল কর্তৃপক্ষ তেমন একটা চিন্তিত এখনই নয়। কারণ তিনি সুস্থ আছেন বলেই জানা যাচ্ছে।

এবার সেই তীরে বিদ্ধ হতে চলেছেন কি মহুয়া মৈত্র? মানে নির্বাচনের আগেই কি তাহলে মহুয়াকে তিহাড়ে পাঠানোর তোরজোড় করছে ইডি? নাকি বিজেপিতে এলে সব কলঙ্ক মুছে যাবে, ঘাসফুল নয় পদ্মফুলে ছয়লাপ হবে কৃষ্ণনগরের মাটি? তিনি টুইট করে বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে মোট ২৫ জন বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। তাঁরা প্রত্যেকেই দলবদল করেছেন। আর বিজেপিতে জয়েন করেই দুর্নীতির দাগ তাঁরা একেবারে মুছে ফেলেছেন। রবিবার মহুয়াকে সমর্থন জানিয়ে কৃষ্ণনগরে সভা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ভোটের আগে হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রার্থীরা। তাই মমতার নিদান হল, ভোটের আগে যাবার প্রয়োজন নেই যতই ডাকুক ইডি বা সিবিআই। বরং সাফ জানিয়ে দিতে এখন যে নির্বাচনের আগে প্রচার সারার প্রয়োজন নেই।

ইডি নতুন করে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে পিএমএলএ মামলা দায়ের করেছে। এদিকে গত সপ্তাহেই ইডির দুয়ারে হাজির হবার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ভোটের প্রচারে কৃষ্ণনগরে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এদিকে নতুন সমন জারি করা হয়েছে মহুয়া মৈত্র এবং দুবাই-এর ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা। তারপরেই এমন একটা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন মহুয়া। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, এখন বিজেপি দরজা খুলে রেখেছে। তাই হয় বিজেপিতে না-হয় তিহাড়ে। আপনাদের কি মনে হয় ইডির ভয়ে মহুয়া জয়েন করবেন বিজেপিতে? জানাবার জন্য কমেন্ট বক্স তো রয়েছেই। সঙ্গে আজকের প্রতিবেদন ভালো লাগলে লাইক করবেন, শেয়ার করবেন। আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করবেন বিজনেস প্রাইম নিউজ।

জীবন হোক অর্থবহ