Daily
অর্থ নেই খোদ দেশের অর্থমন্ত্রীর। নাহ! দেশের সাধারণ মানুষের পকেটের মতো নয় বিষয়টা। (ফারাক হেই) আসলে ভোটে লড়ার মতো অর্থ নেই দেশের অর্থমন্ত্রীর। নির্বাচনী লড়াই নিয়ে এক অভিনব যুক্তি দিলেন তিনি। কী বললেন শুনুন…
নির্মলা সীতারামন
বিজেপি-র তরফে তাকে অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাড়ু থেকে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাড়ু নিয়ে তাঁর সমস্যা রয়েছে কারণ। ওখানে ভোটে দাঁড়াতে গেলে তাঁর ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। তাঁর সম্প্রদায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। আর এই বিষয়টা অর্থমন্ত্রীর একেবারেই না পসন্দ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ভোটে জেতা নিয়ে এই ধর্ম ধর্ম খেলাটা কারা শুরু করেছে? যাই হোক! কেন তিনি ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, দেশের টাকা তাঁর টাকা নয়। তাঁর বেতন, উপার্জন এবং সঞ্চয়-সবটাই তাঁর নিজস্ব। দেশের সম্পদ নয়।
দেশের তথা বিশ্বের ধনীতম দল হচ্ছে বিজেপি। সেই বিজেপি দলের সদস্য হয়ে, দেশের অর্থমন্ত্রী হয়ে তিনি জানাচ্ছেন যে তাঁর কাছে নাকি টাকা নেই। তাঁর উপার্জন এবং সঞ্চয় সবটাই নাকি নিজস্ব। এটা কী তবে বিজেপি-র নেতৃর নতুন কোন চাল? বিজেপি-যার ঘাড়ে রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ইলেক্টোরাল বন্ডের অভিযোগ ঝুলছে, সেই দলের নেত্রী জানাচ্ছেন তাঁর কাছে ভোটে লড়ার টাকা নেই। তাই তিনি লরবেন না। বিরোধীরা অবশ্য এতে নির্মলার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশংসা করেছেন।
স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন লড়তে গেলে ৫-৬ কোটি টাকা খরচের প্রয়োজন। কিন্তু নির্মলা সীতারামনের তো এ বিষয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ ইলেক্টোরাল বন্ড বাবদ তো বিজেপি-ই সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়েছে। তা সে যতই সাধারণ মানুষকে লুঠ করে টাকা নেওয়া হোক। নির্বাচনী প্রচারে দেদার খরচ তো তিনি করতেই পারেন। কিন্তু না! এবিষয়ে তাঁর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠত। তাহলে কী নির্বাচনে না দাঁড়ানোর যুক্তির মাধ্যমে তিনি তাঁর দলকে কোন বড় মেসেজ দিতে চাইলেন?
তাছাড়া তামিলনাড়ু বা অন্ধ্রপ্রদেশে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে লড়তে গেলে তাকে ধর্মের খোঁচা খেতেই হত। একজন দেশের অর্থমন্ত্রী হয়ে তাকে যদি ধর্মীয় আবেগ তৈরি করতে হয়, তাও আবার ভোট জেতার জন্য- সেটা কী ঠিক দেখায়? ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতির লড়াইতে নামতে চান না অর্থমন্ত্রী। যদিও তাঁর দলকেই বারবার এই স্ট্র্যাটেজিতেই প্রচার সারতে দেখা গিয়েছে বা শোনা গিয়েছে। এখন এই ধর্মীয় আবেগ নিয়ে রাজনীতি না করার এই বার্তা কি দলের বিরুদ্ধেই কোন বার্তা নয়?
স্পষ্ট ভাবে কিছু না বললেও, তিনি জানিয়েছেন যে, নিজে থেকে নির্বাচনে না দাঁড়ালেও দলের হয়ে প্রচারে তিনি থাকবেন। কিন্তু দেশের অর্থমন্ত্রীর এহেন অর্থসংকট এবং নির্বাচনে না দাঁড়ানোর যুক্তি আসলে কোনদিকে ঈশারা করছে সে প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই। এবিষয়ে আপনাদের মতামত জানান আমাদের কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।