যতই নাড়ো কলকাঠি, ঘাটাল হল দেবের ঘাঁটি
কেন বললাম সেটা বলব।

বলেছিলেন তিনি ফিরবেন না। তবু ফিরলেন আবার। রাজনীতিতে ফিরেই দেব চমকে দিলেন এবার। শুধু রাজনীতির কচকচানি, না সেটা তিনি আগেও তেমন করেছেন বলে মনে পড়ে না। নির্বাচনী লড়াই-য়ে নামার কারণ, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। আর নেমেই তিনি সর্বহারাদের পাশে। দাসপুরে কয়েকদিন আগে ধূপের কারখানায় আগুন লেগেছিল। রাত আড়াইটে নাগাদ সিকিউরিটি গার্ডরা খেয়াল করেন, দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা কারখানা। শ্রমিক সকলের সকল আশা, ভবিষ্যৎ পুড়ে ছাই এক নিমেষে। দমকলের ৬টা ইঞ্জিন আসে। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। একেবারে ছাই গোটা কারখানা। তবে তারই মধ্যে দেবের আবির্ভাব।

একেবারে ঘুরে গেলেন দাসপুরের কারখানায়। দেখা করলেন ২৩৭ জন শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে। রাজ্য সরকার যে পাশে রয়েছে সেটা আশ্বস্ত করেছেন তিনি। কারণ শ্রমিক সকলদের আর্থিক ক্ষতি চরমে। তাই মাসে আপাতত আড়াই হাজা টাকা প্রতি পরিবারকে দেবে রাজ্য সরকার। এটাই আশ্বাস অভিনেতা থেকে নেতা হয়ে ওঠা দেবের। কারখানা তৈরি হবে। আবার প্রত্যেকে হারানো কাজ ফিরে পাবেন। সর্বহারা মানুষগুলোর মুখে ফুটবে হাসি। দেবের ক্যারিশ্মা এখানে যতটা না আসবে তার থেকে অনেক বেশি দেবের প্রার্থী হিসেবে পাশে দাঁড়ানোটা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ঘেঁটে ঘ হয়ে আছে। কবে হবে, আদৌ হবে কিনা সবার পিছনে রয়েছে কোশ্চেন মার্ক। তাই বলে দেবের এই দাঁড়িয়ে পড়ে সর্বহারাদের সবকিছু ফিরিয়ে দেবার বিষয়টা কিন্তু নির্বাচনের প্রাক্কালে অনেকটাই দেবকে অক্সিজেন দেবে। আর সেদিক থেকে দেখতে গেলে, আমাদের হিরো হিরন- তিনি কিন্তু পিছিয়ে অনেকটাই। পিছিয়ে মানে রাজনীতির ময়দানে হিরন সেভাবে কোন ছাপ ফেলতে পারেন নি। এদিকে দেবকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করেছেন। তবে রাজনীতির ময়দান কি বলছে জানেন? যতই নাড়ো কলকাঠি, ঘাটাল হল দেবের ঘাঁটি- এই কথাটা কোনভাবেই যেন ঝেড়ে ফেলা যায় না। আপনার কি মনে হয় দেবের ঘাঁটি ঘাটাল থাকবে নাকি সেটা ছিনিয়ে নেবে হিরন? জিতবে কে? জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে করুন লাইক, শেয়ার আর নতুন হলে ভুলবেন না সাবস্ক্রাইব করতে আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ।

জীবন হোক অর্থবহ