Market
এবারে আর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি নয়। ধীরে সুস্থেই ফের নোটবন্দীর পথে ভারত। বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে পাঁচ টাকার কয়েন। আপনার কাছেও কি রয়েছে সেই কয়েন? কী করবেন? জানুন বিস্তারত আজকের প্রতিবেদনে।
কালোটাকার হিসেব ,এলাতেই আজ থেকে ৮ বছর আগে বাজার থেকে ৫০০ এবং ১০০- টাকার নোট তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তার নেওয়া হটকারী সিদ্ধান্তে যে সিস্টেমকে একেবারে নাকানিচোবানি কখেতে হয়েছিল, সে কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন হচ্ছে, এই একইরকম পরিস্থিতিই কি হতে চলেছে নোটবন্দীর দ্বিতীয় দফায়?
না! এবার আর পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। ঠাণ্ডা মাথায় সিস্টেম্যাটিক্যালি পুরনো ৫ টাকার মোটা কয়েনগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন যে, বাজারে যত পুরনো এবং মোটা ৫ টাকার কয়েন রয়েছে, তা একে একে তুলে নেওয়া হবে। একইসঙ্গে যাতে বাজারে ফ্লো অফ ক্যাশের কোন অভাব না হয়, সেই জন্য নতুন কয়েন যথেষ্ট প্রিমানে অ্যাভেলেবল করেছে তারা। প্রয়োজনে সেটা বাড়বে। কিন্তু পুরনো পাঁচ টাকার মোটা কয়েন আর কোনভাবেই বাজারে রাখা যাবে না। কিন্তু কেন?
এবারেও সেই কালোবাজারির গন্ধ। সূত্রের খবর, ভারত লাগোয়া প্রতিবেশি দেশ নেপাল এবং বাংলাদেশে যথেষ্ট পরিমাণে পাচার করা হচ্ছে পাঁচ টাকার পুরনো কয়েন। এই পাঁচ টাকার কয়েন তৈরিতে যে ধাতু ব্যবহার করা হয়, তার নাকি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভ্যালু অনেক বেশি। দাড়ি কাটার ব্লেড তৈরি করা যায় এই ধাতু দিয়ে। তবে উন্নত মানের না হলেও কাজ চালানর মতো তো বটেই। আর এই দাড়ি কাটার ব্লেড তৈরি করার জন্যই অবাধে পাঁচ টাকার কয়েন পাচার হচ্ছে দেশ থেকে। প্রশ্ন হচ্ছে এতে সুরাহা হবে কী?
হবে, আশাবাদী আরবিআই নিজে। আসলে যে কয়েন তৈরিতে যে ধাতু ব্যবহার করা হয়, তার দামই যেন তার মুদ্রন মূল্য হয়, সেটা নজর রাখা হয়। কিন্তু পুরনো ৫ টাকার কয়েছে যে ধাতু ব্যবহার করা হত, সেই ধাতু অনেক দামই। মুদ্রন মূল্য থেকেও ধাতুর মূল্য বেশি। তবে, নতুন পাঁচ টাকার কয়েনে ধাতুর পদার্থ বদল করা হয়েছে। ফলে অবাধ পাচার বন্ধ করা যাবে বলে আশাবাদী শিরশি ব্যাঙ্ক।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।