Start-Up Business
একটি গাছ যেমন একটি প্রাণ, তেমনই একটি গাছ থেকে প্রচুর ইনকাম। মানিপ্ল্যান্ট গাছ লাগিয়ে টাকার বৃষ্টি হয় না। তাই এমন একটা গাছ যদি থাকত, শুধু তাকে নিয়ে ব্যবসা করলেই দিনেরাতে আর টাকার চিন্তা থাকত না তাহলে কেমন হত? না না, গার্ডেনিং করতে বলছি না। সেখানে তো হরেক ফুল, হরেক গাছ। কিন্তু আজ যে গাছের কথা আপনাদের বলব ভাবছি, সেটা একটিই গাছ। আর এই গাছ থেকেই আয় মাসে লাখ টাকা। তিন মাসে আয় দাঁড়াতে পারে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। আর ব্যবসার দৌড় যদি ক্যা বাত হয় তাহলে অঙ্কটা আরও অনেক বাড়তে পারে। শুনবেন, কোন গাছের কথা বলছি? তুলসি গাছ।
হ্যাঁ, ঘরে ঘরে বাড়ির ছাদে যে তুলসি গাছ হয় সেই গাছের ব্যবসা আপনাকে মালামাল করে দেবে। কারণ তুলসির ডিমান্ড শুধু আমাদের রাজ্যে নয়, রয়েছে গোটা দেশে। তাই শুধু ধর্মীয় দিকের কথা না ভেবে বরং তুলসি গাছের ব্যবসায়িক দিকটা তুলে ধরা ভালো। দেখবেন কিভাবে আপনার ইনকাম বাড়বে লাফিয়ে লাফিয়ে। এবার আপনি বলবেন, কী এমন আইডিয়া দিলেন? তুলসি গাছের বিজনেস করার জন্য। সব বাড়িতে যে গাছ হয়, তাকে দিয়ে কি বিজনেস হয়? আর হলেও বা কত? লাখ লাখ টাকা আয়? ধরতে পারলে হয়। তাহলে বলি শুনুন।
তুলসির গুণমাহাত্ম্য যত কম বলা যায় ততই বেটার। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র তো বটেই তুলসির উপকারিতা সটান না করে দেন এমন মানুষ পাবেন না। তার মানে এখানেই এসে গেল হেলথের বিষয়। আজকের দিনে মানুষ স্বাস্থ্য নিয়ে একটু বেশিই সচেতন। তাই ঘরে ঘরে জিমের আর যোগব্যায়ামের ঠ্যালা এখন অনেকেই মনে মনে পছন্দ করছেন। সঙ্গে গুরুত্ব রয়েছে আয়ুর্বেদের। সেখানে দাঁড়িয়ে তুলসি গাছ যে আপনার ভাগ্য ফেরাতে পারে এটা না মেনে নেওয়ার তো কারণ নেই। তুলসি চাষের সময় হয় না। সবসময় টবে তুলসি গাছ দেখতে পাবেন। তবে তুলসির সবথেকে ভালো সময় হচ্ছে জুলাই মাস। তুলসির চারা ৪৫X৪৫ সেমি ব্যবধানে রোপণ করুন। সেটা হল RRLOC12 প্রজাতির তুলসি। এই গাছ লাগানো হয়ে গেলে তার পিছনে পরিশ্রম দিতে হবে অল্প। মানে সেচের কাজ অল্প করে করলেই হবে। আর ফসল তোলার ১০ দিন আগে বন্ধ করতে হবে সেচ।
খেয়াল রাখবেন এই গাছের পাতা বড় হলে কেটে ফেলাটাই দস্তুর। কারণ এই গাছে যখন ফুল আসে তখন তেলের পরিমাণ কমে যায়। তাই ফুল আসতে শুরু করলেই কেটে ফেলুন। এমনভাবে এমন উচ্চতায় কাটবেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি গাছে আবার নতুন পাতা আসতে শুরু করে। তারপর কাটা হয়ে গেলেই আপনার ব্যবসার চাকা ঘুরতে শুরু করবে। তুলসি গাছ বিক্রি করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে বাজারের এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অথবা আপনি সরাসরি গ্রাহকদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তাঁদের কাছে বিক্রি করতে পারেন এই গাছ। আর যদি কোন বড় ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন তাহলে তো আর কথাই নেই। যে সকল আয়ুর্বেদ কোম্পানিগুলো রয়েছে সেই সব সংস্থাগুলোয় তুলসি গাছের ডিমান্ড থাকে সবসময় হাই। ফলে বিক্রি করতে কোনরকম সমস্যা হবে না। আর মাত্র ৩ মাসে চারা তৈরি হয় তুলসি গাছে। ডাবর, বৈদ্যনাথ বা পতঞ্জলির মত সংস্থায় তুলসির বিভিন্ন পণ্যের প্রয়োজন সবসময় থাকে। তাই এই সকল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েও আপনি চাষ করতে পারবেন। আর ঠিকঠাকভাবে করতে পারলে ৩ মাসে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করাও কোন ব্যপার নয়। প্রয়োজন নেই বেশি জমির। প্রয়োজন নেই বেশি পুঁজির। সাকুল্যে মিনিমাম খরচ দাঁড়াতে পারে ১৫ হাজার টাকা মত। কিন্তু আয় বাড়তে বাড়তে পৌঁছে যেতে পারে ১০ লাখ টাকায়। যদি ভালোভাবে ফার্মিং করতে পারেন তাহলে মোটা টাকা দিয়ে তুলসি চাষ করা আপনার জন্য যথেষ্ট লাভদায়ক হবে। কারণ কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং করেই মোটা টাকা আয় করে ফেলতে পারবেন আপনি। তাহলে আর দেরি করবেন কেন? আইডিয়া ভালো লাগলে শুরু করুন তুলসি গাছের চাষ। বুঝলেন তো তাহলে আসলে মানিপ্ল্যান্ট কোনটা? আজকের ভিডিও ভালো লাগলে লাইক করুন, শেয়ার করুন। আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ