Start-Up Business
ব্যবসা করার পরিকল্পনা আপনার রয়েছে, এদিকে কোন ব্যবসা করবেন সেই আইডিয়া নেই। তার জন্য এগিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার আপনাকে এমন একটা ব্যবসা করার পরিসর তৈরি করে দেবে যে তার জন্য আপনার মনে আলাদা করে দুশ্চিন্তা থাকবে না। এদিকে মোটা আয়ের সুযোগ তৈরি হয়ে যাবে। কোন ব্যবসা সেটা বলব এই প্রতিবেদনে।
সরকার যে সেক্টরে মন দেয় সেই সেক্টর এমনিই গ্রো করতে শুরু করে। আর একটা সেক্টর যত গ্রো করবে তাকে ঘিরে ততই বাড়বে কাজের সুযোগ। আপনারা সকলেই জানেন যে চিকিৎসাখাতে কতটা মনযোগী হয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে চিকিৎসা খাতে ব্যবসার দারুণ সুযোগ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। সেই সুযোগটাই এবার কাজে লাগাতে পারেন আপনি। শুরু করতে পারেন জন ওষধি কেন্দ্র। হ্যাঁ, ঠিকই বলছি। সরকারের থেকে সহায়তাও মিলবে। এটা মূলত করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ কম খরচে ওষুধ কিনতে পারেন। বলা যেতে পারে এটা ভারত সরকারের একটা বড়সড় উদ্যোগ।
জন ওষধি কেন্দ্র খোলার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি দিচ্ছে ভারত সরকার। দেওয়া হয় তিনটি ভাগে। ফার্স্টঃ কোন ব্যক্তি বিশেষ, বা কোন ফার্মাসিস্ট, বা কোন ডাক্তার চাইলে খুলতে পারেন জন ওষধি কেন্দ্র। সেকেন্ডঃ এনজিও, ট্রাস্ট বা কোন বেসরকারি হাসপাতাল নিতে পারবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আর থার্ডঃ রাজ্য সরকারের মনোনীত কোন সংস্থা চাইলে খুলতে পারবে জন ওষধি কেন্দ্র।
এখানে একটা বিষয় জানিয়ে রাখি। কোন ইন্ডিভিজুয়াল ব্যক্তি যদি জন ওষধি কেন্দ্র খুলতে চান তাহলে কিন্তু ডি ফার্মা বা বি ফার্মার ডিগ্রি থাকতে হবে। খেয়াল রাখবেন, আপনি যখন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আবেদন করবেন তখন কিন্তু দেখতে চাওয়া হবে আপনার সেই ডিগ্রি আছে কিনা। আর আপনি যদি এসসি, এসটি হয়ে থাকেন আর আপনার কাছে যদি সার্টিফিকেট থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আন্ডারে এই কেন্দ্র খোলার জন্য সহায়তা পাবেন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনাকে যদি জন ওষধি কেন্দ্র খুলতে হয় তাহলে ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স প্রয়োজন রয়েছে। আর আপনারা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি সংক্রান্ত ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে ( https://janaushadhi.gov.in) থেকে।
এখান থেকেই আপনাকে ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। তারপর সেই ফর্ম ফিলআপ করে জমা দিতে হবে ফার্মা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং ব্যুরো-তে। সেখান থেকেই আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনি জন ওষধি কেন্দ্র খুলতে পারবেন কিনা। অবশ্য এই কেন্দ্র খোলার জন্য আপনার একটা ছোট দোকানঘরের প্রয়োজন রয়েছে। যদি জন ওষধি কেন্দ্র খুলতে পারেন তাহলে আয়ের দিক থেকে আপনি অনেকটাই নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। কারণ ওষুধ বিক্রিতে ২০% পর্যন্ত কমিশন থাকে। এছাড়া প্রতি মাসে বিক্রির ওপর কমিশন থাকবে। যত টাকার ওষুধ বিক্রি করা হবে তার ওপরেও ১৫% হারে আয় করার সুযোগ থাকবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছর মার্চের মধ্যে দেশে ১০ হাজার জন ওষধি কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে। আপনিও সেই লক্ষ্যে সামিল হতে পারেন, আয় করতে পারেন। তবে ব্যবসা শুরুর আগে পড়ে নেবেন সকল রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন্স।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ