Tourism
লাদাখে আর্টিকেল ৩৭১ লাগু করতে মরিয়া কেন্দ্র। কেন? যদি তাই হয়, তাহলে চিন এবং পাকিস্তান কীভাবে রিঅ্যাক্ট করতে পারে? লাদাখে ৩৭১ ধারা লাগু করা হলে সেখানকার সাধারন মানুষ কতটা উপকৃত হবেন? বিস্তারিত জানব আজকের প্রতিবেদনে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নয়। চাই আলাদা বিধানসভা। কিছুদিন আগেই এই নিয়ে খবরের শিরোনামে ছিল লাদাখ। হয় নাগরিক সুরক্ষা দিতে হবে অথবা পূর্ণরাজ্যের স্বীকৃতি- দাবিতে রীতিমত তুলকালাম কাণ্ড চলে গোটা লাদাখজুড়ে। অশান্ত হয়ে ওঠে লাদাখ। পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। কেন্দ্রের তরফে বিশেষ প্রতিক্রিয়া না মিললেও মোদীর নজর ছিল লাদাখের উপর।
এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে লাদাখ প্রসঙ্গে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। লাদাখের মানুষের মন পেতে মরিয়া মোদী সরকার। সম্ভাব্য শিল্পায়নের কারণে পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল লাদাখের মানুষজন। তাই আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি পেতে চেয়েছিলেন তারা। তবে, আলাদা বিধানসভার দাবিতে কেন্দ্রের সিলমোহর না মিললেও সেখানকার পরিবেশ রক্ষা এবং নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে একটা জবরদস্ত মাস্টারপ্ল্যান সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর সেই কারণেই এত হইচই, তোড়জোড়। লাদাখে ৩৭১ ধারা লাগু করার পথে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সংবিধানের ৩৭১ ধারার মাধ্যমে স্থানীয়দের জমি, চাকরি এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মতো লাদাখও বিধানসভা ছাড়াই একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ৩৭১ ধারার মাধ্যমে লাদাখের নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে বলেই জানিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ৮০ শতাংশ চাকরি স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ধারা লাগু হলে লাদাখের পর্যটনে কি ধরণের প্রভাব পড়তে পারে?
হিমালয়ের পারবত্য অঞ্চলে অবস্থিত লাদাখের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। যা উপভোগ করতে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সেখানে যান। পর্যটকদের ভিড় সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের। পর্যটকদের ভিড় বাড়লে সেখানকার পরিবেশের উপর ক্ষতির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই বেশ কিছু অঞ্চলে পর্যটকদের যাতায়াতে রাশ টানতে চান বাসিন্দারা। ৩৭১ ধারা লাগু হলে সেটা করা সম্ভব। সেখানকার নাগরিকরা চাইলে, পরিবেশ রক্ষার কথা মাথায় রেখে লাদাখের কিছু কিছু জায়গায় পর্যটকদের যাতায়াতে রেস্ট্রিকশন বসাতে পারেন। আসাম, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাটের মতো রাজ্যের কিছু অঞ্চলেও এই নিয়ম অব্যাহত। তবে, পর্যটন শিল্পে এর বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই মোট বিশেষজ্ঞদের।
তবে, আপনাদের কি মনে হয়? লাদাখে ৩৭১ ধারা লাগু করা হলে, চিন পাকিস্তান চুপ করে বসে থাকবে? মনে করিয়ে দিই, ৩৭০ ধারা রদের সময় অন্তত তারা সেটা করেনি। ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলে। এবারেও তার পুনরাবৃত্তি হয় কি না, সেটা সময়ই বলবে। তবে, লাদাখে ৩৭১ ধারা চালু করার প্রয়জনীয়তা নিয়ে আপনাদের কি মতামত, জানান কমেন্টবক্সে। সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।