Start-Up Business
চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা যদি করতে পারেন মন্দ কি? আর ব্যবসা করতে হলে যে বছরভর করতে হবে তারও কোন মানে নেই। বরং সিজনাল ব্যবসার দিকে মন দিলে আপনার চাকরিও যেমন বহাল থাকবে তেমনই সাইড ইনকাম মন্দ হবে না। তাই দোলের আগে বরং এই ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন। মোটা টাকা আয়ের পথ খুলে যাবে। এমনকি চাইলে মহিলারাও ঘরে বসে করতে পারবেন এই ব্যবসা। কি সেটাই বলব আজকের প্রতিবেদনে।
গিফট বাকেট তৈরির ব্যবসা আজকাল বেশ জনপ্রিয়। আপনার যদি জিনিস সুন্দর করে সাজানোর মত অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সহজেই আপনি গিফট বাকেট তৈরির ব্যবসায় নামতে পারেন। আজকাল এই গিফট বাকেট উপহার দিতে মানুষ খুব পছন্দ করছে। আর ক্রেতাদের মধ্যে এই গিফট বাকেট কেনা নিয়ে তেমন দরদাম করার ব্যপারও থাকে না। তাই গিফট বাকেটের বিজনেস দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। হোলি, পয়লা বৈশাখ, দীপাবলি আরও কত কী। যে কোন শুভ কাজেই গিফট বাকেট উপহার হিসেবে দেওয়ার চল রয়েছে।
গিফট বাকেট বিষয়টা কি এটা আপনাদের সহজে বলে দিই। কিছুই না। বিভিন্ন ধরণের উপহার দিয়ে সাজাতে হবে ঝুড়ি। তারপর সেটাকে সুন্দর করে প্যাক করে ফেলতে হবে। চাইলে আপনি নিজে বাকেট কিনে সেটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে বিক্রি করতে পারেন আবার নিজেও বাড়িতে বসে এই বাকেট বানাতে পারবেন। সাইজ, ডিজাইন ইত্যাদির ওপর ডিপেন্ড করে বাকেটের দাম কত কী হবে। এখানেই জানিয়ে রাখি যে গিফট বাকেটের ব্যবসা করার জন্য বড় পুঁজির প্রয়োজন নেই। মাত্র ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে এই বিজনেস আপনি শুরু করতে পারবেন। কী কী প্রয়োজন?
নানা রঙের কাগজ, কারুকাজ করার বিভিন্ন ইনগ্রেডিয়েন্টস, সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী, গয়নার টুকরো, প্যাকেজিং সামগ্রী, স্টিকার, কাপরের টুকরো, পাতলা তার, কাঁচি, মার্কার পেন, ক্যাডবেরি, ফুল, আঠা, কালারফুল টেপ, আবির ইত্যাদি। আপনি নিজের মত করে সাজিয়ে এগুলো বিক্রি করতে পারেন লোকাল দোকানগুলোয়। এছাড়া আপনি নিজে অনলাইন মার্কেটিং করতে পারেন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, বিভিন্ন মার্কেট প্লেস, ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি বিক্রি করতে পারবেন আপনার তৈরি গিফট বাকেট। ভালোভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে করতে পারলে এক হপ্তায় আয় করবেন ১০ হাজার টাকা। আজকের প্রতিবেদন ভালো লাগলে লাইক করুন, শেয়ার করুন। আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ