Story
আবিরে অ্যালার্জি! তার উপর প্রতিবছর যেভাবে দাম বাড়ছে, তাতে রং খেলায় না ইতি টানতে হয়। আর তাছাড়া এত দাম দিয়ে যদি আবির কিনেও ফেলেন, তবু গুনমান নিয়েও রশ্ন ওঠে অনেকের মধ্যে। সমস্যা অনেক। কিন্তু সমাধান একটাই। ভেষজ আবির। আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন, যে এঁটে নতুনত্বের কী আছে? ভেষজ আবির তো বহু বছর ধরেই বাজারে রয়েছে।
নতুনত্ব না থাকলে কী এত অরিমানে বিক্রি থাকত বলুন আবির বিক্রি করে ১ লক্ষ টাকা অরজন্ত আয় করা যাচ্ছে। কাজেই এর চাহিদা যে কী মারাত্মক- সেটা আর আলাদা করে বলছি না। আসলে, দোল খেলার ইচ্ছে থাকেই। কিন্তু নানাবিধ সমস্যার ভয়ে পিছিয়ে আসতে হয়। কিন্তু বছর এই একটা দিন রঙিন উদযাপনে না মাতলে মন কেমন করে। যাই হোক! অবশেষে সুরাহা তো মিলল।
বন দফতরের নন টিম্বার ফরেস্ট প্রডিউস ডিভিশনের তরফে প্রতি বছর ভেষজ আবির তৈরি করা হয়।এ বছরও বাগডোগরার টাইপোতে এই ভেষজ আবির তৈরি করা হয়েছে। এ বছর প্রায় ৭ কুইন্টাল ভেষজ আবির তৈরি করা হয়েছে। বেল পাতা, মুলতানি মাটি, ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরি এই আবির এখন দেদার বিক্রি হচ্ছে বনজের কাউন্টারগুলিতে।
আবির নিয়ে সমস্যা নানান। এই সমস্ত সমস্যা বহুদিন ধরেই নজরে রাখছিলেন শিলিগুড়ির বনদতরের অধিকর্তারা। আর বন দপ্তরের এই সিদ্ধান্তে যেমন অথেনটিক ভেষজ আবির মিলছে, তেমনই প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষের আয় বাড়াতে নিঃসন্দেহে একটা প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি