Trending
গার্ডেনরিচে এতবড়ো বিপর্যয়। মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান সংকটে। তারপরেও দোষ ঢাকাঢাকির রাজনীতি চলছে। রাজ্য নেই আর। শুধুই নৈরাজ্য। নাহলে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর শাসক দল ৫ লাখ টাকায় হাত ধুয়ে ফেলতেন না। মানুষের জীবন বড়ো সস্তা বলুন?
মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা এলাকাতেই এত বড় বিপর্যয় ঘটে গেল। এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল। আর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তাঁর প্রতিক্রিয়া কী?
এটা একজন মেয়রের মুখের কথা? ইঞ্জিনিয়ারদের পারমিশন না এলে নির্মাণকাজ শুরু হয় কীভাবে? আর সেই ইঞ্জিনিয়াররা তো আপনার পুরসভারই কর্মী। তাহলে আপনার এলাকার মানুষজন কতটা সুরক্ষিত, সেই প্রশ্ন কিন্তু তুলতেই হচ্ছে।
কোলকাতা পুরসভার রেকর্ড বলছে শুধুমাত্র গার্ডেনরিচ এলাকাতেই ৭০-এর উপর বেআইনি নির্মাণের তথ্য রয়েছে। তারপরেও ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঠুঁটো জগন্নাথ। তিনি নাকি ঘটনার বিন্দু-বিসর্গ জানেন না। ভাবুন, একজন কাউন্সিলর নিজের এলাকার খোঁজ রাখছেন না, দুর্ঘটনার দায় এড়ানোর যারপরনাই চেষ্টা করছেন। তাঁর ওয়ার্ডের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে এরপরেও কোন প্রশ্ন উঠবে না?
৩ ফুটের রাস্তায় দো-তলা বাড়ির ভিতের উপর ৫ তলা বাড়ি। কোলকাতা পুরসভার নাকের দগায় বেআইনি নির্মাণ হয়ে গেল, কেউ কিচ্ছু জানে না? না জানি আর কত গার্ডেনরিচ বহুতল গড়ে উঠেছে এই কোলকাতার বুকে। না জানি আর কত মানুষকে প্রাণ দিতে হবে এর জন্য। না জানি আর কতবার নিজেদের দোষের দায় ঘাড় থেকে এড়াতে নিজেদের দোষ ঢেকে চলবেন তারা। এখন প্রশ্ন হল এই বিপর্যয়ের দায় কার? পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে একজ্যাক্টলি কি ব্যবস্থা নেওয়া হল? জানেন সেসব? না সেসব কিছুই সামনে আসে নি।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় দুর্নীতি, ফুড এসআই পরীক্ষায় পরীক্ষা হওয়ার আগেই প্রশ্নফাঁস, শহরের বিভিন্নপ্রান্তে বেআইনি নির্মাণ, বহুতল ভেঙে সাধারণ মানুষের মৃত্যু, মানুষের প্রাণহানি হওয়ার মতো দুর্নীতি, খাজনা আদায়ের নামে তোলাবাজি- এগুলো কী কিছুই প্রভাব ফেলে না? মনুষ্যত্বের ছিটেফোঁটাও কী বাকী নেই আর?