Story
কৃষি দপ্তর থেকে ট্রেনিং নেওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি গাইঘাটার মলয় বাবুকে। চোখের নিমেশে বদলে গেল জীবন। বদলে গেল পেশা। রাজমিস্ত্রি থেকে এখন তিনি প্রাণীপালক। যেখানে সেখানে নয়। একেবারে বিলের মধ্যিখানে। ভাসমান হাঁসের খামার তৈরি করার পর তিনি ত এখন এলাকার হিরো।
বছর তিনেক আগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই হাঁসের খামারের খবর আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিল বিজনেস প্রাইম নিউজ। আমাদের প্রতিনিধিকে তখন তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তাই এই মুহূর্তে তাঁর ব্যবসা ঠিক কতটা সম্প্রসারিত হল? সেই উত্তর খুঁজতে আর একবার আমরা ঢুঁ মারলাম মলয় আচারিয়ার এই ভাসমান খামারে। আর তাছাড়া, ইউনিক এই আইডিয়া এই মুহূর্তে কতটা গ্রহণযোগ্য হল সর্বসাধারনের কাছে? সেই কথাও জানতে হবে বৈকি!
লোকালয়ের পরিবেশ দূষণ করে হাঁস-মুরগি। শুরুর দিকে পাড়া প্রতিবেশির গঞ্জনা, কম শুনতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে যে উপায় বেরিয়ে যায়- তার জলজ্যান্ত উদাহরন হলেন গাইঘাটার পুরন্দর গ্রামের এই মলয় আচারিয়া। জলের মধ্যিখানে খড়ের বিছানায় তৈরি হয়েছে তার ভাসমান ফার্ম। যেখানে রয়েছে প্রায় কয়েক প্রজাতির হাঁস এবং মুরগি। তবে মাঝখানে বেশ ক্ষতির মুখে পরে বিলে খামার সম্প্রসারন না করে, ডাঙ্গায় খামার তৈরি করেন। কিন্তু দূষণ আটকান কীভাবে?
এক বিঘা থেকে বেড়ে এখন খাবারের দৈর্ঘ্য তিন বিঘা। প্রাকৃতিক পরিবেশে এমন ব্যবস্থা এমনিই কম খরচসাপেক্ষ। তার উপর আবার আনুসাঙ্গিক খরচ কমাতে এখন তিনি নিজেই পাখিদের খাবার জন্য ধান, ভুট্টা, বাঁধাকপি চাষ করছেন। মাস গেলে আয় কত হচ্ছে জানেন?
নিজের গ্রামে তো বটেই। আশে-পাশের গ্রাম থেকেও তার কাছে ভাসমান খামার তৈরির টেকনিক জানতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। আয় বাড়ায় তিনিও এখন লোক রেখে একেবারে বানিজ্যিকভাবে তাঁর এই ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছেন। সবমিলিয়ে কৃষি দপ্তরের ট্রেনিং পেয়ে তাঁর এই ইউনিক ফ্লোটিং ফার্মের আইডিয়া একেবারে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ওই অঞ্চলে।
দেবাশিষ মন্ডল
উত্তর ২৪ পরগণা