Story
বেড়েছে কর্মসংস্থান। বেড়েছে আয়। ৪ গুণ পরিমাণে বেড়েছে বেতন। ভারতের মৎস্য চাষিরা এখন সোনায় সোহাগা। মাছ চাষের ব্যাপারে তারা এখন ভীষণ অপ্টিমিস্টিক। শুধু নোনা জল নয়। বাড়ির পাশের পুকুর, বিল বা গঙ্গায়ও দেদার মাছ চাষ করে মোটা টাকা আয় করছেন তারা। যা কিনা উৎসাহ বাড়াচ্ছে আগামীর মধ্যে। তা মৎস্য চাষিদের দিন বদলাতে কারা রয়েছেন নেপথ্যে জানেন?
আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিসারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিফরি। মৎস্য গবেষণায় দেশে সাড়া জাগানো এক সংস্থা। যাদের গবেষণা এবং স্ট্র্যাটেজিতেই আজ আয় বাড়ছে মৎস্য চাষিদের। ভারতবর্ষের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মহিলারা ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিতে পারছেন। ফিশারি ইন্ডাস্ট্রিতে আসছে ।
এখানেই শেষ নয়। আগামীতে ফিস ইন্ডাস্ট্রির ডেভেলপমেন্টে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা তারা জানাল তাদের ৭৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে।
মাছ চাষেও নাকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। টেকনিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট। ফাইভ জি টেকনোলজি। ড্রোন সেন্সর মনিটরিং সিস্টেম আরও কত কি… তবে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে, তাদের উদ্যোগেই সম্ভবত আগামীতে বছরভর ইলিশের যোগান বহাল থাকবে বাজারে। আর ইলিশের স্বাদ পেতে পকেটেও খুব বেশি চাপ পড়বে না সাধারণ মানুষের।
জলে অক্সিজেন না থাকলে সেখানে মাছের বৃদ্ধি সম্ভব নয়। আর মিষ্টি জলে মাছ চাষ করার মেইন সোর্স হচ্ছে গঙ্গা। তাই গঙ্গা ক্লিনিং মাস্ট। জলে অক্সিজেন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঙ্গা ক্লিন করার কাজ তারাই করছে। এছাড়াও সুন্দরবন, খোলসী, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়খন্ড, আসাম, মনিপুর, বীরভূম, মালদা, নদীয়া,দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কখনো সিফরি নিজে আবার কখনো সিফরির তত্ত্বাবধানে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে মৎস্য উন্নয়নের কাজ চলছে।
তাই এগ্রিকালচার ইন্ডাস্টির প্রতিটা সেক্টর এখন দেশের এগ্রি ডেভেলপমেন্টের নিরলস প্রচেষ্টায় মগ্ন। আগামী দিনে সিফরি-র গবেষণা এবং আধুনিক প্ল্যানিং যে সত্যি বদলাতে চলেছে ভারতের মৎস্য চাষিদের অর্থনৈতিক চালচিত্র, তা বলাই যায়।
সুব্রত সরকার
নদীয়া