Daily
এই কারখানাতেই তৈরি হয়ে বিভিন্নরকমের তুবড়ি, চরকি, রংমশাল- বিভিন্ন আতশবাজি। গোটা উত্তরবঙ্গে সেলিব্রেশনের জন্য যা যা বাজি প্রয়োজন- সব এখান থেকেই যায়। কিন্তু লাইসেন্সের ধন্দে এখানেও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
কালী পুজো ইজ নট কালীপুজো উইদআউট বাজি পোড়ানো। আর সেই বাজি পোড়ানোতেই যদি এত নিষেধাজ্ঞা থাকে, তাহলে খুব মুশকিল। আরও বড় মুশকিল- যারা বাজি তৈরির সঙ্গে জুড়ে আছেন। কী করা যাবে? সরকারী নিষেধাজ্ঞা বলে কথা- মানতে তো হবেই। অগত্যা দীর্ঘদিন ধরে বাজি কারখানার ঝাঁপ বন্ধ করে রাখতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে সরকারীভাবে বাজি কারখানার তালা খোলার সম্মতি মিলেছে। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে যে, বাজি তৈরি করা যেতে পারে, যদি সেটা গ্রিন ক্র্যাকার হয়। তবে, সবটাই হল কিন্তু বড্ড শেষ মুহূর্তে হল।
দীপাবলিতে পরিবেশদূষণ রুখতে আগে ভাগেই বাজি বিক্রিতে রুখে দাঁড়িয়েছেন পরিবেশবিদরা। তাদের বক্তব্য একটাই- গ্রিন বাজি হলে কোন অসুবিধে নেই। কিন্তু বাজি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যত অনিশ্চয়তা তৈরি হল ঐ লাইসেন্স পাওয়াকে ঘিরেই। লাইসেন্স ছাড়া বাজি কারখানা একেবারেই নিষেধ। সেখানে লাইসেন্স যদি এত দেরিতে মেলে- তাহলে চাপ পরে শ্রমিকদের ওপর। দিনরাত এক করে কাজ করলেও সরকারী অনুমদন পাওয়া সব বাজি তৈরি করা যাবে না। তাই আপাতত তুবড়ি বানাতেই ব্যস্ত তারা।
মূল্যবৃদ্ধি পিছু ছাড়ছে না। বাজি বাজারেও যে এর প্রভাব পড়বে- সে কথা হলফ করে বলা যায়। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শ্রমিকদের মজুরি। কাজে এবারে বাজারে বেরিয়ে বাজি কিনতে গেলে পকেটে যে ভালোরকম চাপ পড়বে- তা আশা করাই যায়।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি