রাজ্যের উন্নয়নের জন্য জমি কখনও বাধা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী এমনই আশ্বাসবাণী দিয়েছিলেন। অথচ তাঁর আশ্বাস থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য এই জমিজটই মূল সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে। বারবার চিঠি পাঠিয়েও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ রেলের। চলছে দুপক্ষের টানাপড়েন। বাজেট তৈরি। পরিকল্পনাও বহু আগে তৈরি। শুধুমাত্র এই জমি জটের গেরোয় থমকে রয়েছে ৬১ টি রেল প্রকল্পের কাজ। যার মধ্যে অন্যতম উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণ প্রকল্প।

২০১০ সালে সিলমোহর পায় কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর রেলপ্রকল্প। কেটেছে গোটা একটা দশক। ৩৩ কিমি-র এই রুটের রেল সম্প্রসারনের জন্য বাজেট ধরা হয়েছিল ৩৮০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৭০ কোটি টাকার কাজও শুরু করা হয় রেলের তরফে। কিন্তু সে কাজ আজও অসামাপ্ত। শ্রীমতী নদীর উপর দাঁড়িয়ে পিলার। ব্রিজ তৈরি হবে। আজ নয়, হয়তো কখনও! কবে? কেউ জানে না। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কী সুবিধা হতে পারে? শুনুন।

এখানেই শেষ নয়। ওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে হিলি ও রধিকাপুরে দ্বিপাক্ষিক স্তরে বাণিজ্যিক লাভ হবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে শিলিগুড়ির দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার কমবে। উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। রেল যোগাযোগ সুগম হবে। এবং সর্বোপরি, যুবসমাজের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তাই সেখানকার মানুষের শুধু একটাই দাবি…

জেলার উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে এখনও কি চুপ করেই বসে থাকবে রাজ্য? শুধু চিঠি আদানপ্রদানই সার? নাকি আসলেই কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে? এখন সেটাই দেখার।

অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর