Share Market
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জাস্ট একটা সিদ্ধান্ত। আর মাত্র তিনদিনের মধ্যে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে পেটিএম। ক্ষত সামলে কোনমতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল এই ফিনটেক কোম্পানি। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই ফের আরবিআই-এর ছোবল। কী বলছে আরবিআই? পেটিএম-এর জন্য পরিস্থিতি কী আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে? কী হবে পেটিএম শেয়ার হোল্ডারদের? পেটিএম-এর শেয়ারদর কী আরও কমবে? এই সাংঘাতিক ক্রাইসিস থেকে আদৌ কী ঘুরে দাঁড়াতে পারবে পেটিএম? এই সমস্ত প্রশ্নই এখন সকলের মুখে এবং মনে। পেটিএম নিয়ে আরবিআই-এর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত কী? জানাবো আজকের প্রতিবেদনে।
শোধরানোর জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। ঠিক তাই। এক বছর, দু-বছর নয়। পেটিএম-কে পাঁচ পাঁচটা বছর সময় দিয়েছে আরবিআই। তারপরেও হুঁশ ফেরেনি সংস্থার। দেশের ফিনটেক জায়েন্টরাই যদি এইভাবে কাজ করে তাহলে স্টার্ট আপ সংস্থাগুলো কী ফলো করবে ভাবুন? শুনলেন আরবিআই গভরনরের কথা। এবার গত সপ্তাহে পেটিএম-এর বিষয়ে বলতে গিয়ে আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর স্বামীনাথন জানকী রামান কী বলেছিলেন? শুনুন সে কথা।
শক্তিকান্ত দাসের সুরেই সুর মিলিয়েছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর স্বামীনাথন জানকী রামান। পেটিএম সংক্রান্ত এই পুরো বিষয়টা শুরু হয় ৩১ জানুয়ারি নাগাদ। যখন আরবিআই তাদের চরম সিদ্ধান্তের কথা সাফ সাফ জানিয়ে দেয়। জানানো হয়, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক-এবার থেকে ব্যান করে দেওয়া হচ্ছে।
আর ঠিক তারপরই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামনের সঙ্গে পেটিএম-এর ক্রাইসিস সংক্রান্ত একটি মিটিং সারেন পেটিএম কর্ণধার। ১০ মিনিটের এই মিটিং-এ অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্য স্পষ্ট করেন। তিনি জানিয়ে দেন যে, পেটিএম-এর এই ক্রাইসিসে সরকারের কোন ভুমিকাই নেই। মিটিং-এর খবর জানাশোনা হতেই প্রভাব পড়ে শেয়ার বাজারে।
নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে মিটিং-এর দৌলতে অনেকেই ভাবেন যে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। এবং সেই কারণে আবারও পেটিএম-এর শেয়ার কেনার হিড়িক পড়ে। বুধবার নাগাদ বেশ ভালো কেনাবেচা চলে। কিন্তু লক্ষ্মীবারেই ফের হুরমুড়িয়ে পড়ে পেটিএম-এর শেয়ার। এক ধাক্কায় একেবারে ৯শতাংশ দাম কমে পেটিএম শেয়ারের।
তবে, এই ক্রাইসিস থেকে আবারও কবে ঘুরে দাঁড়াবে পেটিএম? আর এই বিশাল ক্ষয়ক্ষতির ভরপাইই বা কীভাবে করবে এই সংস্থা- সেই প্রশ্ন তো থাকছেই। কাজেই এই মুহূর্তে পেটিএম-এ ইনভেস্টমেন্ট কতটা কার্যকরী হবে সেটা তো বিনিয়োগকারীরা তাদের ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজরদের থেকেই পেতে পারেন। কারণ পেটিএম-এ এখনও বেশ কিছু অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে। তবে এটাও ঠিক ভবিষ্যতে সংস্থার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে, জানাচ্ছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।