Bangladesh
বিশ্বকাপ পেরলেও তার রেশ কাটছে না কোনভাবেই। বলা ভালো কাটতে দেওয়া হচ্ছে না। নেপথ্যে- বাংলাদেশের কিছু সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রলিং, কটুক্তি, শালীনতার বিন্দু বিসর্গ মানছেন না বাংলাদেশীদের একাংশ। প্রতিবাদে বাংলাদেশী পর্যটকদের বয়কট করার ডাক দিলেন ভারতের হোটেল ব্যবসায়ীরা।
সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে মনের কথা খুলে বলা যায়। যে যা খুশি বলতে পারে, তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা মানে তো অশালীনতা নয়, বক্তব্য ভারতের হোটেল ব্যবসায়ীদের।
ঘটনা নতুন কিছু নয়। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ হোক বা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট- ভারতীয় দল হারলে বাংলাদেশী ভক্তদের একাংশ উল্লাসে ফেটে পড়েন। যেন পড়শি দেশের সর্বনাশেই তাদের পৈশাচিক আনন্দ! আর ঠিক এই ব্যবহারের প্রতিবাদেই ক্ষোভে, বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য বুকিং বন্ধ করেছে দার্জিলিং, গ্যাংটক, সিকিমের হোটেল ব্যবসায়ীরা।
পাহাড় থেকে সেই প্রতিবাদের হাওয়া এখন সমতলের দিকেও বইতে শুরু করেছে। একই সুর সোনা যাচ্ছে রায়গঞ্জের হোটেল ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। কিছু হোটেলের রিসেপশনে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা রয়েছে- যে বাংলাদেশীদের জন্য হোটেল বুকিং একেবারে বন্ধ।
যদিও সকলের বক্তব্য সমান নয়। কারণ এমন চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত ভারতের পর্যটন শিল্পে কত বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, সেই বিষয়ে তারা ওয়াকিবহাল। তাছাড়া ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস মানে পর্যটকে ঠাসা উত্তরবঙ্গ। বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। আর এই পিক টাইমে ব্যবসার ক্ষতি ডেকে আনার বিপক্ষে সুর চরিয়েছেন তারা।
বিশ্বকাপে ভারতের পরাজয়ে বাংলাদেশের উছ্বাসই হোটেল ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তের একমাত্র কারণ নয়। কিছু হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন যে, অনেকেই অনেক সময় হোটেল বুকিং করেন অথচ তারা আসেন না। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় হোটেল ব্যবসায়ীদের। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই কালচারের কারণেই আজ এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে হোটেল মালিকদের একাংশ।
তবে এইভাবে বাংলাদেশী পর্যটকদের বয়কট করা ওভারঅল হোটেল ব্যবসায় যে ভালোরকম ছাপ ফেলবে, সেটা আশা করাই যাই। তাই প্রতিবাদের সময়সীমা অজথা দীর্ঘ না করে অবিলম্বে মূল স্রোতে ফিরে আসার অনুরধ জানাচ্ছেন অনেকে।
অরূপ পোদ্দার, শিলিগুড়ি
অনুপ জয়সয়াল, উত্রত দিনাজপুর