Market
শরতের দুপুরে ঠায় রোদ্দুরে মাথায় হাত দিয়ে বসেছিলেন গোপাল মণ্ডল। কদিন আগের অসময়ের বৃষ্টিতে তার কয়েক বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাজারে দেনা করে সবজি চাষ করেছিলেন তিনি। এখন সবটাই জলে।
অকাল বর্ষণ। চাষের জমিতে জমছে জল। পচন ধরছে শিকড়ে। জোগানে টান। একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে চাষের ক্ষেত আধ-ডোবা। বর্ষার পর সূর্যের আলো যেন আরও বড় অমাবস্যা ডেকে আনল সবজি চাষিদের জীবনে। অগ্নিমূল্য বাজার। অন্ন-সংকটে অন্নদাতারা।
সরকারকে পাশে চাই। এ যেন এক চিরন্তন হাহাকার। আবহাওয়া ঘড়ি তো মানুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে না। কিন্তু চাষের ক্ষতি হলে, সাধারণ মানুষের ক্ষতি। চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট কৃষকদের কপালে। এমন দুর্দিনে সরকার ছাড়া আর কাকেই বা খুঁজবে তারা?
কত পরিশ্রম করে কটা টাকা লাভের আশায়ে ফসল ফলান এনারা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক। এখন দেনার দায়ে রাতের ঘুম উড়েছে সব্জি চাষিদের। উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটে ১০ টি ব্লকের কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ফসল ভাল ফলার পরও ঘরে তুলতে পারল না কৃষকরা। বাধ সাধল নিম্নচাপ। তরতাজা ফসলের বেশীরভাগটাই চোখের সামনে নষ্ট হয়ে গেল মাঠেই।
সামনেই পুজো। সবজি ছাড়া বাঙালির হেঁসেল, টাও আবার পুজোর সময়- ভাবাই যায় না। তাই পুজোর সময়টায় চাহিদা থাকে তুঙ্গে। আর এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সবজির ক্ষেতে যে ব্যাপক ক্ষতি তৈরি হল, সে ক্ষতির ভরপাই আদৌ কী সম্ভব? সরকার পাশে থাকবেন কী? পুজোর আগে এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটবে? সবটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।
বিক্রম লাহা
উত্তর ২৪ পরগণা