Tourism
ট্যুরিজম সেক্টরে নতুন উইং। এবার কি তাহলে খুলতে চলেছে সাগর তলায় থাকা দ্বারকাধীশের দরজা, সাধারণের জন্য? আর তাকেই কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা আয় জেনারেট করার পরিকল্পনা করছে মোদী সরকার? ৭৩ বছর বয়সে তিনি যা করলেন, তারপর অন্তত এটা বলাই যায় ট্যুরিজম সেক্টরে দ্বারকাধীশ মন্দির নতুন একটা রাস্তা খুলে দিতে পারে। কিন্তু কবে হবে সেই প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন? কবে সাধারণ মানুষ দেখতে পাবেন দ্বারকাধীশ মন্দির?
মোদী যেখানেই যান সেখান থেকেই নতুন একটা ট্রেন্ড শুরু হয়ে যায়। তার পিছনে থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের সুনির্দিষ্ট কিছু প্ল্যান। মলদ্বীপ নিয়ে যখন সেই দেশের প্রশাসন ভারত বিরোধী মনোভাব দেখিয়েছিল, সেই সময় তিনি শুধু হেঁটেছিলেন লাক্ষাদ্বীপের মাটিতে। কার্যত ধস নামে সেই দেশের ট্যুরিজম সেক্টরে। এবার কি পালা তাহলে মেরিন ট্যুরিজম? ৭৩ বছর বয়সে মোদী যা করছেন তারপর তাঁকে হ্যাটস অফ জানাতেই হয়। ধর্মীয় বিবাদ সরিয়ে রেখেই কথাটা বলা। এই বয়সে তিনি করলেন স্কুবা ডাইভিং। আরব সাগরের তোলায় ডুব দিয়ে একেবারে পৌঁছে গেলেন দ্বারকাধীশ মন্দিরে। সেখানে গিয়েই ময়ূর পালক দিলেন কৃষ্ণকে স্মরণ করে। হিন্দু পুরাণ বলছে, শ্রীকৃষ্ণের পরেই দ্বারকা শহর গিলে নিয়েছিল আরব সাগর। তারপর দ্বারকা যেন আটলান্টিস হয়ে যায়। বহু মানুষের কাছে সাগর গর্ভে গিয়ে সেই মন্দির ভিজিট করা কিছুটা অবাস্তব বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু এখন যেন নতুন করে অক্সিজেন পাবার সম্ভাবনা দেখিয়ে দিলেন মোদী। রবিবার অতল জলের তলায় ডুব দিয়ে একেবারে দ্বারকা মন্দির পরিদর্শন করে এলেন তিনি। তারপরেই অনেকে ইঙ্গিত পাচ্ছেন, তাহলে হয়ত এবার মেরিন ট্যুরিজমের ভাবনা চিন্তা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
দেখুন, লাক্ষাদ্বীপের ট্যুরিজম নিয়ে মোদী আলাদা করে তো কিছু বলেন নি। কিন্তু লাক্ষাদ্বীপ তো আজ হটকেক হয়ে উঠছে ট্যুরিস্টদের কাছে। একইভাবে এই দ্বারকাধীশ মন্দির নিয়ে আজ সেই একই কথা শোনা যাচ্ছে এখানে ওখানে। ভাসছে হাওয়ায়। মোদী ডুব দিলেন মানেই কি তাহলে দেশের ট্যুরিজম সেক্টরে নতুন উইং খুলতে চলেছে? মানে এবার কি তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার খুব বড়সড় প্ল্যান করছে মেরিন ট্যুরিজম নিয়ে? সেটা অবশ্য জানা নেই। তবে হ্যাঁ। মোদী নিজে ভিজিট করে এসেছেন মানে সেই আশা জিইয়ে রাখাই যায়। সেক্ষেত্রে মেরিন ট্যুরিজম দুর্দান্ত একটা প্রোজেক্ট হয়ে উঠতে পারে। যদি সাধারণ মানুষের জন্য সাগর গর্ভে ডুব দিয়ে দ্বারকার মন্দির দেখার মত ইনফ্রাস্ট্রাকচার এই সরকার তৈরি করে ফেলতে পারে তাহলে কোটি কোটি টাকা যে অচিরেই জেনারেট করা যাবে সেটা তো আর বিস্তারিত বলার প্রয়োজন পড়ে না। বিষয়টাকে ধর্মীয় কচকচানির মধ্যে না ফেলে বরং এভাবেই দেখা যাক। আমাদের দেশে স্পিরিচুয়াল ট্যুরিজম কোটি কোটি টাকা রাজকোষে নিয়ে আসে। প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়, একটা বড় বিজনেস জেনারেট হয়। রিসেন্ট এগজ্যাম্পল বললে অবশ্যই রাম মন্দিরের কথা উঠে আসে। কিন্তু ডাঙায় যা করা সহজ, জলের তলায় সেই বিষয়টা করা ততই কঠিন। তবু দ্বারকা মন্দির ভিজিট স্পিরিচুয়াল ট্যুরিজমের অন্যতম ধারক বাহক হয়ে উঠতে পারে। আর সেই সঙ্গে অ্যাড হতে পারে মেরিন ট্যুরিজম। আর এই দুটোই যদি এক ছাতার তলায় এনে মোদী সরকার সেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে তাহলে শুধু ডোমেস্টিক ট্যুরিস্ট নয়, ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিস্টরাও আসবেন। প্রথম কথা এই ধরণের বিষয় একেবারেই অভিনব আর কৃষ্ণের সঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের পরিচয় অনেক বেশি। এর ফলে উপকৃত হবেন প্রচুর মানুষ যারা সরাসরি এই মেরিনের সঙ্গে যুক্ত। স্পিরিচুয়াল ট্যুরিজম, মেরিন ট্যুরিজমের ওপর ভর করেই তাহলে কোটি কোটি টাকা আয় জেনারেট করা সম্ভব হবে। তবে কবে হতে পারে এই প্রোজেক্ট? সেই আশা আপাতত আশাতেই রয়ে গেছে। কিছুই জানা নেই। তবে হ্যাঁ, একটা প্রশ্ন আপনার জন্য- আপনি সুযোগ পেলে কি ঘুরে আসবেন দ্বারকাধীশ মন্দিরে? জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে লাইক করুন, শেয়ার করুন। আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ