Tourism
আস্ত একটা পাহাড়ের নীচে তৈরি হবে টানেল। আর সেই টানেলের মধ্যে দিয়েই ছুটবে ট্রেন। বসবে আস্ত একটা প্ল্যাটফর্ম। নামমাত্র সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে- দার্জিলিং, গ্যাংটক অথবা সিকিম শহরে। কী অবাক লাগছে? শুনতে অবাক লাগলেও এই পাহাড় ফুঁড়ে ট্রেন ছোটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
নদীর পর এবার পাহাড় ফুঁড়ে ট্রেন ছুটবে এই বাংলায়। গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো ছোটার যাবতীয় প্রস্তুতি একেবারে শেষ লগ্নে। আর কিছুদিনের মধ্যেই ট্রেন ছুটবে নদীর তলা দিয়ে। অভিনব এই পরিকল্পনায় ইতিহাস তৈরি করেছে বাংলা। কিন্তু সমতলে যা সম্ভব, পাহাড়ের মতো জায়গাতেও সেটা সম্ভব হচ্ছে কীভাবে?
কী,কেন, কীভাবের প্রশ্নকে পিছনে ফেলে এবার পাতালঘরেই তৈরি হচ্ছে আস্ত একটা রেলস্টেশন। রেখে ইতিমধ্যেই টানেল তৈরি হয়ে গিয়েছে। দার্জিলিং যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এই রেলস্টেশন। রেলপথে বাংলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে পাহাড়ে ঘেরা সিকিম, এ খবর আপনারা সকলেই জানেন। আর বাংলা টু সিকিম রুটেই থাকছে দেশের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন। পাহাড়ি এলাকায় মাটির নীচে গিয়ে থামবে ট্রেন। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে টানেল।
নির্মাণকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মাটির নীচে তৈরি এই প্ল্যাটফর্মের দইরঘ হবে ৬২০ মিটার লম্বা আর টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৬৫০ মিটার। ফলে অনায়াসেই ২৪ কোচের এটি ট্রেন সেখানে দাঁড়াতে পারবে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রাখা হয়েছে যথাযথ ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, দার্জিলিং ও গ্যাংটক যাওয়ার জাংশন পয়েন্ট হতে চলেছে এই স্টেশন।
পর্যটকেরা শিলিগুড়িতে না নেমে, নামতে পারেন তিস্তা বাজারের এই স্টেশনে। আর এখান থেকে দার্জিলিং যেতে কত সময় লাগবে জানেন? মাত্র ২ ঘণ্টা। রাস্তার বিরক্তিকর জ্যাম এড়িয়ে পাহাড় চড়া হবে একেবারে সহজ। কাজেই পাহাড়প্রেমী পর্যটকদের জন্য এটা যে কত বড়ো সুবিধা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।