কথাতেই আছে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। নলেন গুড়ের সন্দেশ আর বড়দিন ছাড়া আরও একটা উৎসবের জন্য শীতকালের অপেক্ষা থাকে বছরভর। গঙ্গাসাগর। মকর সংক্রান্তির পুণ্য স্নান। লক্ষ্য লক্ষ্য তীর্থযাত্রী আর এক বিশাল ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড। কাজেই শীতকাল পড়তেই শুরু হয়ে গেল গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতি।

ভিড় এড়াতে ডিসেম্বর থেকেই পর্যটকদের ভিড় নজরে আসছে সাগরদ্বীপে। ভিড় সামাল দিতেও তৎপর প্রশাসন। অন্যদিকে অতিমারির কঠিন সময়কে পিছনে ফেলে গঙ্গাসাগর মেলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ই-স্নান। ঘরে বসে অর্ডার করলেই গঙ্গাজল, গঙ্গামাটি, মহাপ্রসাদের প্যাকেজ পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে। যে সিদ্ধান্তে উপকৃত হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে রয়েছে গঙ্গাসাগরের লাইভ আকর্ষণ- জমজমাট গঙ্গাসাগর মেলা।

এই ভাঙা মেলার আসর সেখানে এক জমজমাট ব্যাপার। যারা গিয়েছেন, তারা ের আনন্দ উপভোগ করেছেন। হোটেল, পার্কিং, ট্রলার, অনান্য স্টল, ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা-সবমিলিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা মানে এক হৈহৈ- রৈরৈ ব্যাপার।

কুম্ভ মেলার পর যদি বিশ্বের কোথাও সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম হয়, তবে সেটা এই গঙ্গাসাগর মেলা। তাই গঙ্গাসগর মেলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। যার ফলে স্থানীয় মানুষ তো উপকৃত হবেনই। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেরও যে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হবে, সেটা বলাই যায়।

প্রসূন ব্যানার্জি
গঙ্গাসাগর