সে ঘুরতে যেখানেই যাওয়া হোক না কেন? ফটো চাই ইন্সটা পারফেক্ট। রিলসের যুগে এটাই এক এবং একমাত্র ক্রাইটেরিয়া। ইদানিং রিলসে কিন্তু ট্যুরিজম ডেসটিনেশন হিসেবে মালদ্বীপটা বেশ ভাইরাল হয়েছে, খেয়াল করেছেন? সাদা চিকচিক বালি, নীল জল, ওয়াটার ভিলা-যা ফটো আসবে, তাতে আলাদা করে ফিল্টার না বসালেও চলবে। কিন্তু মালদ্বিপে ট্রিপ প্ল্যান করা কজনই বা আবার অ্যাফর্ড করতে পারে? পকেটের করুন অবস্থা দেখে এক বুক দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

উপায় নেই? কে বলেছে উপায় নেই? পকেটে চাপও পড়বে না, আবার ইন্সটা ফ্রেন্ডলি ফটোও উঠবে। হ্যাঁ! মালদ্বীপের মত ওয়াটার ভিলায় দাঁড়িয়েই সুইমিং পুলের পাশে সরবতের গ্লাসে চুমুক দিয়েই ফটো সেশন হবে। উত্তরবঙ্গে। শিলিগুড়ি শহরে। লোকেশন? শিলিগুড়ি জাংশন থেকে ঐ মেরেকেটে ৭-৮ কিমি রেঞ্জের মধ্যে। খরচ খরচা যা লাগবে, সেসব ম্যানেজারবাবুই গাইড করে দেবেন।

পুজোয় কোলকাতা থাকার প্ল্যান অনেকেই রাখেন না। আর বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড বলছে, উত্তরবঙ্গের ট্রেনের টিকিট এই পুজোর সময়ই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। সুতরাং যারা নিরিবিলিতে ঐ চার-পাঁচটা দিন কাটাতে চান, তারা কিন্তু নিজেদের বাকেট লিস্টে রাখতেই পারেন এই রিসোর্টের নাম। দুই ব্যবসায়ীর চেষ্টায় গড়ে ওঠা এই ওয়াটার রিসোর্ট নিঃসন্দেহে সিনিক প্লেসার দেবে তার গেস্টদের।

নর্থ বেঙ্গল মানে এমনিই মন ভালো ভালো হয়ে যায়। সেখানে এরকম দারুন আইডিয়ার রিসোর্ট সকলের মনপসন্দ হবে, সেটা বলাই যায়। ব্যস্ততার মধ্যেই টুক করে ছুটি পেলে কাটিয়ে আসতে পারেন কিন্তু।

অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি