Academy
১০ বছরের জেল, ১ কোটি টাকা জরিমানা । চাকরি দুর্নীতি রুখতে জারি সরকারী পরোয়ানা । বারবার প্রশ্নফাঁস, নিয়োগ দুর্নীতি, ভুয়ো পরিচয়পত্রে পরীক্ষা দেওয়া- নিয়োগের পরীক্ষায় যাবতীয় কারচুপি রুখতে এবার কঠোর সরকার। পরীক্ষায় চিটিং করলেই হয় ১০ বছরের জেল নয়তো গুনতে হবে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা। সাফ জানাল কেন্দ্র।
আর নয় চাকরি পরীক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি। নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষায় দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভায় পাশ হয়ে গেল সরকারী পরীক্ষায় অনিয়ম প্রতিরোধ বিল। ঠিক কী বলা হয়েছে এই বিলে? কোন কোন পরীক্ষার জন্য এই বিল লাগু হতে চলেছে? এবং এই বিলের গুরুত্ব ঠিক কতটা? সবটাই জানাবো আজকের প্রতিবেদনে।
সরকারী চাকরি যেন অমাস্যার চাঁদ! সামান্য কিছু শূন্যপদের জন্য চলে লক্ষ লক্ষ আবেদনকারীর লড়াই। প্রতিযোগিতা? সাংঘাতিক। সুতরাং দায়ে পড়ে হোক বা ইচ্ছাকৃতভাবে, অসাধু উপায় অবলম্বন করেন অনেকেই। এবার চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনোরকম অসাধু আচরনকে প্রশ্রয় না দিতেই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। পেশ হল অ্যান্টি চিটিং বিল।
এই অ্যাণ্টি চিটিং বিল নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা নেওয়া বিভিন্ন সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যেমন ধরুন ইউপিএসসি, এসএসসি, আরআরবি, ব্যাঙ্কিং পার্সোনাল টেস্ট, ন্যাশনাল তেস্টিং এজেন্সির মতো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরীক্ষার হলে অসাধুতার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভুয়ো নিয়োগপত্র, চাকরির জন্য ভুয়ো প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত থাকবেন, নতুন এই বিলে তাদের জন্য রয়েছে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা। কী কী বিধান দেওয়া হয়েছে নতুন এই বিলে? দেখে নিন।
বিলে বলা হয়েছে,
প্লেটঃ ১- যে সমস্ত পরীক্ষার্থী কোনরকম অসদুপায় অবলম্বন না করে পরীক্ষা দেবেন, তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। কিন্তু যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস বা টুকলির মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারা কঠোর শাস্তির মুখে পড়বেন। এই ধরণের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিললে ১০ বছর পর্যন্ত জেল কিংবা ১ কোটি টাকার জরিমানা হতে পারে।
প্লেটঃ ২- প্রশ্নপত্র ফাঁসের ক্ষেত্রে অপরাধীর কোনও জামিন হবে না এবং এক্ষেত্রে আপোষের সঙ্গে মামলা মিটিয়ে নেওয়ার কোনও বিধি থাকবে না।
প্লেটঃ ৩- এই বিলের অধীনে সমস্ত অপরাধ জামিন অযোগ্য নয়। প্রয়োজনে প্রশাসন নিজের থেকে ব্যবস্থা নিতে পারবে। কোনরকম পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহভাজন ব্যাক্তিকে চার্জ করা এবং প্রয়োজনে গ্রেফতার করার স্বাধীনতা থাকবে পুলিশের হাতে।
প্লেটঃ ৪- নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত অসাধু চক্রকে হাতেনাতে ধরতে একটি সরকারী কমিটিও তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের মতো অপরাধ রুখতে কাজ করবে।
চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে যেভাবে বাংলা, বিহার, গুজরাট বা উত্তরপ্রদেশের নাম জড়িয়েছে তা নিয়ে অস্বস্তিতে কেন্দ্র। কীভাবে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা দিনের পর দিন প্রতিবাদে সামিল হয়েছে, সে খবর আপনারা সকলেই জানেন। তবে এবার নতুন বিল হয়তো তাদের সুরাহা করলেও করতে পারে। কারণ এবার যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির জন্য হাহাকার, আর অযোগ্যদের চাকরিবিলাস- আর কোনরকম ভাবেই গ্রাহ্য করবে না সরকার। স্বচ্ছ, ন্যায্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতাই হবে চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে শেষ কথা। কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনরকম অসাধু উপায়ের সঙ্গে আপোষ করা হবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে কেন্দ্র।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।