ইনি সেই উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার পরিমল মণ্ডল। যে কিনা বছর তিনেক আগে মাল্টা প্রজাতির লেবু চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল গোটা গ্রামে। বিজনেস প্রাইম নিউজে সে খবর তখন সম্প্রচারও করা হয়। আর তারপরই কার্যত সাড়া পড়ে যায় গোটা এলাকায়। কৃষি দপ্তরের আধিকারিক থেকে স্থানীয় চাষিরা মাল্টা লেবু চাষের প্রতি উৎসাহিত হয়ে পরিমল বাবুর পরামর্শ নিতে সোজা তার বাড়িতে চলে আসেন। বাকিটা শুনুন তার নিজের মুখেই…

করোনা মহামারী এবং আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে চাষিভাইরা যখন প্রথাগত চাষ নিয়ে হাপিত্যেশ করছিলেন, তখন বিকল্প চাষের মাধ্যমে উদাহরণ তৈরি করেছিলেন পরিমল বাবু। কৃষি দপ্তরের পরামর্শ এবং সহযোগীতা নিয়ে শুরু করেন মাল্টা লেবু চাষ। যা পরবর্তীতে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

মাত্র ২০ টি চারা দিয়ে শুরু করেছিলেন। তাতেই যে পরিমাণ লাভের মুখ দেখেছিলেন, তারপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন আরও চারা লাগিয়েছেন তাঁর বাগানে। চাষ করছেন বানিজ্যিকভাবে। এখন ব্যবসা তাঁর অনেক বড়ো।

শুধু কী তাই? প্রচারের আলোয় আসার পর এখন তাঁর নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। সবসময়ই বাড়িতে কেউ না কেউ আসছেন বিকল্প এই চাষের পরামর্শ নিতে। স্বল্প পুঁজিতে মাল্টা চাষ যে কতটা লাভজনক, তা বোধ হয় ভালোই বুঝতে পেরেছেন আশেপাশের চাষি-ভাইরা। তাই তাঁর থেকে চারা কিনে নিয়ে গিয়ে এখন চাষিভাইরা নিজেরাও ব্যবসা করছেন। আর তাদের কী বলছেন পরিমলবাবু নিজে? শুনে নিন।

দ্ধি- স্রোতের বিপরীতে হেঁটেও যে এত লাভ হয়, সেটা পরিমলবাবুকে না দেখলে এবং তাঁর চাষের গল্প না শুনলে বোঝাই যেত না। চোখ বন্ধ করে ভরসা করেছেন কৃষি দপ্তরকে। পাশে পেয়েছেন বিজনেস প্রাইম নিউজকে। আর আজ তাঁর ব্যবসা বাংলাজুড়ে পরিচিতি পেয়েছে। তাঁর থেকে উৎসাহিত হয়ে অনেকেই আজ বিকল্প চাষে আগ্রহী।

দেবাশিস মণ্ডল
উত্তর ২৪ পরগণা