Story
মধু চাষে জীবন হবে মধুর। মিলবে সরকারী সাহায্য। একইসঙ্গে পকেট ভরবে টাকায়। শীতের মরশুমে মধু চাষ বদলে দিতে পারে আপনার জীবন। শীতের এই মরশুমে কার্যত শিল্পের আকার নিয়েছে মৌমাছি প্রতিপালন। আর বাড়তি লাভের আশায় মধু চাষের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে উত্তর দিনাজপুরে ছুটে আসছেন মধু চাষিরা।
একই জমিতে চাষ হচ্ছে সর্ষে এবং মধু। এখানে উৎপাদিত মধু পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশে। আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। শীতের মরশুমে সর্ষে চাষ এবং মৌমাছি চাষ করে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছে উত্তর দিনাজপুর।জাতীয় সড়কের দুধারে শীতের মরশুমে চাষ হচ্ছে সর্ষে। আর সেই সর্ষে ক্ষেতে আসছে ঝাঁক ঝাঁক মৌমাছি। মৌমাছি প্রতিপালনকে ঘিরে বসছে অস্থায়ী তাঁবু। চলছে মধু সংগ্রহের কাজ।
বিঘার পর বিঘা জুড়ে চলছে মধু চাষ। কেউ মালদা, কেউ মুর্শিদাবাদ, কেউ দক্ষিণ ২৪ পরগণা- পেটের টানে কনকনে ঠাণ্ডাতেও মৌমাছি প্রতিপালনের জন্য উত্তর দিনাজপুরে ছুটে আসছেন চাষিভাইরা। বসছে অস্থায়ী তাঁবু। দেদার চলছে বিকিকিনি।
মৌমাছি চাষ করতে প্রথমেই যে জিনিসগুলোর প্রয়োজন হয় সেগুলো হল মৌবাক্স, ফেসকভার, মধু রাখার ড্রাম ইত্যাদি কিছু প্রাথমিক জিনিসের। অর্থাৎ প্রয়োজন সামান্য কিছু বিনিয়োগ। সারা বছর ধরেই যেহেতু মধুর চাহিদা কমে না তাই মধু বিক্রি কমে যাবার সম্ভাবনাও থাকে না। হোলসেল বাজারেও খুব সহজেই মধু বিক্রি করা যায়।
আর্থিক লাভের দিক থেকে এই মৌমাছি চাষ কিন্তু কম সময়ে কম বিনিয়গে বেশি আয় করার অন্যতম পথ। তাই চাষিভাইরা যদি একটু নিজেদের বুদ্ধি ও আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারেন এবং সরকার থেকে যদি সহজ কিস্তিতে ঋণ পান তাহলে এই মৌমাছি চাষে লাভের অঙ্কটা খুব একটা খারাপ হবে না।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর