Story
সখের বাগানে ফুল চাষ করবেন বলে মোটা মাইনের চাকরি ছেড়েছেন তিনি। এরপর ২০০৪ সাল থেকে শুরু হয় জোরকদমে ফুল চাষ করা। একেবারে আটঘাট বেঁধে। তাও আবার গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা- এসব ফুল নয়। বিদেশী ফুল। কোন ফুল চাষ করা লাভজনক, সেই ফুল কীভাবে চাষ করতে হবে- সব বিষয়ে একবারে রিসার্চ করে তবেই চাষ শুরু করেছেন তিনি। আর তাতেই কেল্লাফতে।তবে, তিনি কোটিপতি হয়েছেন কি না, তার পরিষ্কার উত্তর না দিলেও, নিজেই মানছেন…
সমগ্র উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি, ভিন রাজ্যে এবং ভিন দেশে ফুল রপ্তানি করে নজির গড়েছেন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা উৎপল ব্যানার্জি। উৎপল বাবুর মধ্যে যেন আশার আলো দেখছেন ফুল চাষিরা। মূলত ফুল ব্যবসায়ী এবং ফুল চাষিদের মধ্যে দূরত্ব মেটানোর কাজ করছে উৎপল ব্যানার্জি। পলিহাউজে কীভাবে জারবেরা চাষ করে, সেটাই মূলত প্রধান চমক ছিল উৎপলবাবুর বাগানে। কিন্তু সেখানে গিয়ে লিলিফুলের বাহার দেখে চোখ আটকে গেল।
ইতিমধ্যেই তার বাগান থেকে লিলি ফুল পাইকার বাজারে যেতে শুরু করেছে। মূলত ৪০ টাকা করে এক একটি পিস বিক্রি হচ্ছে শিলিগুড়ি এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে।
এই ফুল চাষের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে একটু বেশি খরচ করতে হলেও, পরের দিকে বিশেষ খরচ নেই। আর একবার উতদন শুরু হলে বেশ ভালোরকমেরই লাভ হয়। কাজেই এই ফুল চাষ যদি কেউ শুরু করতে চাষ তাদের উদ্দেশ্যে উৎপল বাবু জানাচ্ছেন,
ফুল চাষিরা যাতে সোজাসোজি ফুল ব্যবসায়ীদের কাছে ফুল বিক্রি করে তাদের আয় করতে পারে সেই ব্যবস্থায় করছেন তিনি। আর এই কাজে আজ তিনি অনেকতাই সফল। এমনকি তার এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গও সরকারও।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি