Story
চাষ করেই কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সুব্রত মাহেশ। তাই গতানুগতিক চাষ নয়। শুরু করেছেন নতুন নতুন ফসল চাষ। সবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রথাগত চাষ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। ধান, ফুল চাষের পরিবর্তে শুরু করলেন ড্রাগন ফল ও স্ট্রবেরি চাষ। আর তাতেই কেল্লাফতে।তবে, তিনি কোটিপতি হয়েছেন কি না, তার পরিষ্কার উত্তর না দিলেও, নিজেই মানছেন…
জেলা, রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের গোগ্রামের সুব্রত মহেশের বাগানে ফলানো স্ট্রবেরি আর ড্রাগন ফল এখন পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। ইতিমধ্যে পাড়ি দিয়েছে সুদূর মধ্য প্রাচ্যের বাহারিন, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে। নিঃসন্দেহে যা পিংলাবাসী তথা পশ্চিম মেদিনীপুর এবং সমগ্র ভারতবাসীর কাছেও গর্বের ব্যাপার।
এই চাষের প্রাথমিক খরচ অনেকটাই। কিন্তু, তারপরে খরচ প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ আগামী বেশ কয়েক বছর মোটা টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই চাষ থেকে। পিংলার চাষি সুব্রত মহেশবাবু বিজনেস প্রাইম নিউজকে জানান,
আর লাভ? তিনি বলেন,
চাষেও নতুনত্ব। এই চাষিভাইয়ের ভাবনাতেও নতুনত্ব। আগামী প্রজন্মের মধ্যে এই নতুন ফসল চাষের পদ্ধতি পৌঁছে দিতে তিনি দুর্দান্ত একটা আইডিয়া দিচ্ছেন, শুনুন…
প্রথাগত চাষ থেকে সরে গিয়ে নতুন পথে হাঁটায় কম সমস্যায় পড়তে হয়নি সুব্রতবাবুকে। প্রথমে চাষ করলেও মেলেনি বাজার। ফলে গ্রাম থেকে কখনও মেদিনীপুর, কখনও হাওড়া ছুটতে হত। সেখানেও কম দামে ফল বিক্রি করতে হত। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে তখন প্রশাসন থেকে বিশেষজ্ঞ – সকলেরই সাহায্য মেলে। এমনকি, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সাহায্য মেলে খড়গপুর আইআইটি-রও। একাধিক পুরষ্কারও মিলেছে। এখন স্ট্রবেরি ও ড্রাগন ফ্রুটের জগতে সুব্রত মহেশ একটি প্রতিষ্ঠিত নাম।
প্রসূন ব্যানার্জি
পশ্চিম মেদিনীপুর