Story
গ্রাম-বাংলা শিল্পের আঁতুড়ঘর। কিন্তু সেই শিল্পের খোঁজ রাখেনই বা ক’জন? আর সেই শিল্পীদের কদরই বা করেন ক’জন? তবে একটা বিষয় যেটা লক্ষণীয়, যে ইদানিং বাংলার এই প্রতিভাকে সকলের সামনে তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছেন সরকার। সঙ্গে রয়েছেন বেশ কিছু উদ্যোগপতি।
বাটিক ডিজাইনের যে এত ভ্যারাইটি হতে পারে, সেটা এই ধরণের ওয়ার্কশপ না হলে বোঝাই যেত না। গতানুগতিক বাটিক শিল্প নয়। বরং বাঁধনি এবং বাটিকের এক অনন্য মিশেলে তৈরি করেছেন শিল্প। আর এই কঠিন কাজকে সহজ করে সকলের সামনে তুলে ধরছেন, এই সমস্ত শিল্পীরা। এক্সপার্টদের গাইডেন্সে সাধারণ একটা শিল্পকে অসাধারণ সৃষ্টিতে পরিণত করছেন তারা। স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা। আত্মনির্ভর হচ্ছে গ্রাম-বাংলা।
এনাদের সহযোগীতায় বাংলার এই কুটির শিল্প আজ বিশ্বজনীন। পৌঁছে যাচ্ছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিল্পীদের তুলে এনে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি এমনই এক উদ্যোগপতির তৎপরতায় এবং মিনিস্ট্রি অফ টেক্সটাইলের তরফে ভারতে এই প্রথম এমন এক একজিবিশনের ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে বাংলার শিল্পীরা, বলা ভালো মহিলা শিল্পীরা তাদের হাতে তৈরি প্রোডাক্ট শো-কেস করার সুযোগ পেয়েছেন। বাটিক শিল্প এবং টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে যার গুরুত্ব ভবিষ্যতের জন্য অনস্বীকার্য।
এই সমস্ত শিল্পীরা একে অন্যের পরিপূরক। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কুটির শিল্পের যে সম্ভার তারা তৈরি করছেন, তা আগামীদিনে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিকে যে সমৃদ্ধ করবে, তা বলাই যায়। একইসঙ্গে অন্যান্য ডিজাইনারদের মনেও যে দাগ কাটবে, তা নিশ্চিত। আর এই সমস্ত উদ্যোগপতিদের প্রচেষ্টাতেই বিশ্বের দরবারে পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার কুটির শিল্প। যাদের হাত ধরে স্বনির্ভরতার স্বপ্ন দেখেন এই বাংলার মহিলারা। তাদের এই অনেস্ট উদ্যোগ আগামীদিনে ইয়াং ডিজাইনার বা আর্টিসানদের যে উদ্বুদ্ধ করবে, তা বলাই যায়।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ