Story
উত্তরবঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে মোড় ঘোরাচ্ছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। পাথুরে মাটিতেই ফলছে সোনার ফসল। জাফরান, অর্কিডের পর এবার নতুন এবং উন্নত পদ্ধতিতে আলু চাষের জন্য উদ্যোগী হয়েছে তারা। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। কি এই পদ্ধতি?
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করলে নাকি কম সময়ে ডবল উৎপাদন করা যাবে। অল্পসময়ের মধ্যে লাখ লাখ চারা উৎপাদন করা সম্ভব। পদ্ধতির নাম এপিক্যাল রুটেড কাটিং। মূলত টিস্যু কালচারের মাধ্যমে এটি করা হয়। কী এই টিস্যু কালচার পদ্ধতি? শুনুন।
রাজ্যের কৃষি দপ্তর চাষি ভাইদের সুবিধার্থে নতুন পদ্ধতিতে আলু চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। এই ব্যাপারে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসছে উত্তরবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফার্ম বিভাগ। আসলে মাছে ভাতে বাঙ্গালির প্রতিদিন খাবার পাতে আলু থাকবে না এমন হতেই পারে না। তাই সারা বছর ধরেই থাকে আলুর চাহিদা। এই চাহিদা মেটাতেই কৃষি দপ্তরের এই নতুন উদ্যোগ।
যেহেতু কোফার্ম বিভাগের নিজস্ব ল্যাবরেটরি আছে তাই সেখান এই টিস্যু কালচারের মাধ্যমে লাখ লাখ চারা তারা তৈরি করা সহজ। প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই নতুন পদ্ধতির প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াতে হবে।
এই প্রজেক্ট সফল হলে কৃষকদের কম দামে চারা বিক্রি করা সম্ভব হবে। এতে একদিকে যেমন চাষি ভাইদের উৎপাদন খরচ কমে যাবে অন্যদিকে আবার রোজগারও আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে যাবে। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে ক্রেতারাও সস্তায় বাজার থেকে আলু কিনতে পারবেন। তার ওপর এই এআরসি পদ্ধতি টি ভীষণভাবে labour intensive তাই গ্রামীন এলাকায় বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ ও ঘটবে। রাজ্যের ১৩ টি জেলার প্রায় ১০৭ টি কৃষক গোষ্ঠী যুক্ত আছে এই প্রজেক্টে। তাই এই এপিক্যাল রুটেড কাটিং পদ্ধতি যে আলু চাষের ক্ষেত্রে এক বিপ্লব আনতে চলেছ তা বলাই যায়।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি