দুর্গাপুজো- বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। ফুটপাথ জোড়া ভিড়, ট্রাফিক জ্যামের হিড়িক, প্যান্ডেল হপিং,স্টিক হাতে পূজা ভ্লগিং- ভরপুর উৎসবের আমেজ। আর এই উৎসবের ফ্লো-টা মেন্টেন করে চলেছেন ওনারা। পুজোর শহরের মুশকিল আসান- কোলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।

সাদা জামা কালো জুতো, একটা ওয়াকি-টকি- ১২ থেকে ১৮ ঘন্টার ডিউটি। ঠায় দাঁড়িয়ে। একটানা গাড়ির হর্ন, এত মানুষের দায়িত্ব, মাইকিং- যেকোনো মানুষের মেন্টাল হেলথের বারোটা পাঁচ বাজার উপক্রম। কিন্তু ওনাদের দেখুন। কী ভীষণ ঠাণ্ডা মাথায় ধৈর্যয়ের সঙ্গে সবটা হ্যান্ডেল করছেন। মেন্টাল হেলথ এতটা স্ট্রং থাকে কী করে?

একেই বলে মনের জোড়! এ শহরের গতিতে, কোনমতেই নয় বিরতি। তাই সদা সজাগ- কয়েক হাজার ট্রাফিক পুলিশ এবং হোম গার্ড। সকালের ঠাটাপোড়া রোদ, বিকেলের ভ্যাপসা গরম-সবটা সবটা ব্যালান্সড- সঙ্গে? হাসিমুখ!

কোন প্যান্ডেলে যাবেন? কীভাবে যাবেন? আপনার ফেভরিট রেস্টুরেন্টটার শরটেস্ট রুট কোনটা? আহা! মুশকিল আসানেরা থাকতে কীসের চিন্তা? যেন চলতা-ফিরতা গুগল ম্যাপ! তিলত্তমার আঁকেবাঁকে, অলিতে গলিতে, প্রতিটা রাস্তার মোড়ে- যেখানে বিপদে পড়িবে…

পুজো জানে, এ শহর কতটা অবাধ্য হতে পারে। পুজোর কদিন বেপরোয়া তিলোত্তমা। বাধানিষেধের ধার ধারেনা উৎসব। তবে চ্যালেঞ্জকে ব্যালেন্স করার মন্ত্র জানেন এই শহরের মুশকিল আসানেরা।

হ্যাষট্যাগ পুজো সরটেড যদি আপনার পোস্টের ক্যাপশন হয়- তাহলে তার ষোলআনা ক্রেডিট এই সাইলেন্ট হিরোদের। যাদের স্যাক্রিফাইস, ডেডিকেশন- এটা পসিবল হয়। যারা নিজেরদের পরিবারের মধ্যে নয়, পুজো কাটান আমাদের জন্যে, আমাদের বন্ধু হয়ে। তাই মণ্ডপে ঠাকুর দেখে বেরনোর পথে কখনও এই মুশকিল আসানদের সঙ্গে দেখা হলে একগাল হাসি, হাসাই যায়…

বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ