Agriculture news
স্বাস্থ্যরক্ষাই হোক বা রূপচর্চা, ভেষজ উদ্ভিদের বিকল্প নেই। সৃষ্টির সেই আদিকাল থেকে চিকিৎসা ক্ষেত্র ও ওষুধ তৈরিতে এই ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহারের গুরুত্বকে আমরা কিছুতেই অস্বীকার করতে পারি না। শুধু ভেষজ উদ্ভিদের উপর নির্ভর করেই এদেশে গড়ে উঠছে বড় বড় স্টার্ট আপ। বাড়ছে চাহিদা, বাড়ছে বাজারদর। এই সব ইতিবাচকদিকগুলি নিঃসন্দেহে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ঠিক সেই কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় অনেক ভেষজ উদ্যান।
আগামী প্রজন্মের কাছে ভেষজ উদ্ভিদের পরিচিতি ঘটাতে এবং গুনাগুন পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ বর্ধমানের পান্ডবেশ্বরে। সম্প্রতি পাণ্ডবেশ্বর ব্লক প্রাঙ্গণে এক সঞ্জীবনী ভেষজ উদ্যানের উদ্বোধন করলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। কালের নিয়মে বহু গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এই সব গাছের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবং হারিয়ে যাওয়া গাছগুলোকে আবার পরিবেশের মধ্যে ফিরিয়ে আনতেই তাদের এই উদ্যোগ।
ভারত আয়ুর্বেদের পথপ্রদর্শক। অথচ আগামীদিনে এই আয়ুর্বেদের জানকারি সকলের মধ্যে পৌঁছে দিতে না পারলে তা ম্লান হতে পারে। আর তাছাড়াএলাকার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ বাবু এই উদ্যান সম্পর্কে ভীষণরকম আশাবাদী। প্রাচীন ভারতের আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ঐতিহ্যর কথা স্মরণ করিয়ে এই উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
পৃথিবীর সমস্ত উন্নতদেশগুলোতে যত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি হয় তার প্রায় ৩৩% তৈরি হয় ভেষজ উদ্ভিদ থেকেই। শুধুমাত্র ভেষজ উদ্ভিদ রপ্তানি করে ভারতের কোষাগারে আসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার। কাজেই ভেষজ উদ্ভিদের সহজলভ্যতা বাড়ালে চিকিৎসা ও ভেষজ ওষুধ অনেক বেশি সহজলভ্য হবে। দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার খরচ অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে আসবে।
কাঞ্চন দাস
পশ্চিম বর্ধমান