কৃষি নিয়ে স্টার্ট আপ করার প্ল্যান রয়েছে, অথচ কীভাবে এগোবেন বুঝতে পারছেন না তো? চিন্তা নেই, সে বিষয়ে আপনাকে কমপ্লিট গাইডেন্স দেবে ইফকো-বিশ্বের বৃহত্তম সার উৎপাদক সংস্থা। আগের এপিসোডে আমরা আপনাদের জানিয়েছিলাম কীভাবে ইফকো আপনার কেরিয়ার তৈরির সুযোগ করে দিতে পারে। আজ বলব, ইফকোর সাহায্যে কীভাবে আপনি এগ্রি স্টার্ট আপ শুরু করতে পারেন।

এক্সপেরিমেন্ট প্লাস অ্যাপ্লিকেশন। এগ্রিকালচার ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে এমন একটা ফিল্ড, যেখানে হাজার একটা সাবজেক্ট, হাজার একটা সম্ভাবনা। অথচ, চাকরি চাই আর কর্মীছাঁটাইয়ের চক্করে আমরা এই বেসিক বিষয়টা কীভাবে মিস করে যাচ্ছি, তাই না? হ্যাঁ আপনি বলতেই পারেন, এগ্রিকালচার ইন্ডাস্ট্রিতে হাজার একটা সমস্যা। চাষিদের সমস্যা, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, অর্থনৈতিক সমস্যা- কিন্তু যেখানে প্রবলেম, সেখানেই অপরচ্যুনিটি। আজকের এই ভিডিওটা তাদের জন্য, যারা হাজার একটা প্রবলেমের মধ্যেও অপরচ্যুনিটি খোঁজেন। যাদের প্যাশন হচ্ছে এগ্রিকালচার। যারা এগ্রিকালচারকে প্রফেশন হিসেবে বেছে নিতে চান। তারা কীভাবে এগোতে পারেন? ইফকোকে কীভাবে পাশে পেতে পারেন? সে বিষয়েই বিস্তারিত জানতে কথা বলব, ইফকো ডিজিএম মিঃ স্বপন রায়ের সঙ্গে।

বাংলার মাটি হচ্ছে একটা ব্লেসিং। সত্যি বলতে, এত উর্বর আর সুবিস্তৃত জমি, এবং সর্বোপরি কৃষিক্ষেত্রে এমন প্রভূত সম্ভাবনা ভারতের খুব কম জায়গায় আছে বলেই মনে করা হয়। আর সেটা মেনটেন করতে চাষিভাইদের ভূমিকা যেমন অনস্বীকার্য, তেমনই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষ- মানে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা, কৃষি নিয়ে কাজ করছেন এমন পড়ুয়ারা, বিজ্ঞানীরা, এবং সারের ডিস্ট্রিবিউটর বা সাপ্লায়াররা, প্রত্যেকেরই ভূমিকা রয়েছে। এগ্রি ইন্ডাস্ট্রিতে যারা এগোতে চান, তাদের জন্য বিভিন্নরকম ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করে ইফকো। ঠিক কী কী ট্রেনিং রয়েছে, কীভাবে তা পাওয়া যেতে পারে, সেবিষয়েও বিশদে জানিয়েছেন স্বপনবাবু।

আচ্ছা একবার ভেবে দেখুন তো, এগ্রি স্টার্ট আপ নিয়ে এত কথা কেন বললাম? আজ ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। ৫ বছর পর সেটা আরও বাড়বে। ১০ বছর পর তার চেয়েও বেশি। আর সেক্ষেত্রে ফুড হচ্ছে সকলের বেসিক নিড। কাজেই তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে পশ্চিমবঙ্গে অনান্য ইন্ডাস্ট্রি কার্যত ধুঁকছে। কিন্তু কৃষির ক্ষেত্রে তো সেটা নয়। বরং এগ্রি ইন্ডাস্ট্রিতে যত দিন যাবে, ততই বদল আসবে, তৈরি হবে সম্ভাবনা। কাজেই যারা এগ্রি স্টার্ট আপ প্ল্যান করছেন, তারা ইফকোর এই গাইডেন্স মেনে এগ্রি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের কেরিয়ার গড়ার কথা ভাবতে পারেন।

তবে এক্ষেত্রে জমির খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। একজন মা যেভাবে সন্তানের যত্ন করেন, সেভাবেই যত্ন করতে হবে জমিকে। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে ফার্টিলাইজার, পেস্টিসাইড বা অনান্য দরকারি জিনিস প্রয়োগ করাটা খুব ইম্পরট্যান্ট। জমিতে সার প্রয়োগের ফর্মুলাটা কী, সেটা জানাবো আমাদের নেক্সট এপিসোডে। টিল দেন, স্টে টিউন্ড উইথ…

বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ