কম বিনিয়োগে বেশি লাভের প্রত্যাশা কম-বেশি সকলেরই থাকে। আর তাই প্রথাগত ধান, গম চাষ ছেড়ে বিকল্প চাষে ঝুকেছেন চাষিভাইদের একাংশ। অবশ্য কৃষি বিশেষজ্ঞদের কথা মেনেই। তবে একথাও ঠিক যে, ধান এমন একটা ফসল, যার ডিম্যান্ড কোনোদিন কমবে না। তাই যে সমস্ত চাষিরা এই মরশুমে ধান চাষ করছেন, তাদের জন্য আজকের ভিডিওটা খুবই জরুরী, কারণ আজকের ভিডিওতে রয়েছে বোরো ধান চাষিদের কম বিনিয়োগে বেশি লাভ ঘরে তোলার চাবিকাঠি।

শুরু হয়ে গিয়েছে বোরো ধানের মরশুম। আর বোরো ধান চাষে ভালো ফলন পাওয়ার প্রাথমিক শর্ত হল, সুস্থ এবং সবল চারা তৈরি করা এবং সেই চারা সঠিক পদ্ধতি মেনে চাষ করা। আর এই বোরো ধানের মরশুমে কীভাবে জমি তৈরি করে চারা রোপণ করবেন? কীভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার সঙ্গে মোকাবিলা করবেন? কীভাবেই বা বেশ মোটা অঙ্কের লাভ ঘরে তুলবেন? রইলো কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ।

মূলত জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি- এই সময়টা বোরো ধানের মরশুম। কিন্তু অনেকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করায় ভাবছেন শেষ মুহূর্তে ধান রোপণ করবেন কি না। হাতে সময় কম, অথচ চটজলদি ফলন পেতে বেশ কিছু ধানের ভ্যারাইটির পরামরশি দিচ্ছেন, কৃষি বিশেষজ্ঞরা। শুনে নিন, কোন ধান চাষ কোলে ফলন নিয়ে আপনাকে বিশেষ ভাবতে হবে না।

বোরো ধানে প্রচুর পরিমাণে ভূগর্ভস্থ জল প্রয়োজন। আর এই বিষয়টার জন্যই প্রচুর চাষি বোরো ধান চাষে বিশেষ আগ্রহ দেখান না। কিন্তু সেচ ব্যবস্থায় বিশেষভাবে নজর দিলে এর সুরাহা হতে পারে। আমন ধানের থেকে বোরো ধান অনেক বেশি লাভজনক। যেহেতু এই সিজনটায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝক্কি কম থাকে। কিন্তু অনেকসময়ই দেরী করে ধান রোপণের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি পড়তে হয় চাষিদের। সেক্ষেত্রে লাভ তো দূর, পুঁজির অঙ্কই ঘরে তোলা কঠিন হয়ে যায়। তাদের জন্যেও রইলো বিকল্প চাষের টোটকা।

কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে জমি এবং চারা তৈরি করে বোরো ধান চাষ আপনাকে লাভের মুখ দেখাতে পারে। আর ধানের চাহিদা বারোমাস্যা। সুতরাং জল বেশি প্রয়োজন বলে যারা পিছু হটছেন তাদের উদ্দেশ্যেই রইলো কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ। তবে, ধান ছাড়াও তিল বা ডালশস্য চাষ লাভজনক হতে পারে। সেই বিষয়ে কৃষি বিশেষজ্ঞরা কী জানাচ্ছেন? বা কী ধরণের গাইডেন্স দিচ্ছেন- জানাবো পরের কোন এপিসোডে। দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।

দেবাশিস মণ্ডল
উঃ ২৪ পরগণা