Trending
নতুন বছর, নতুন রেজোলিউশন। ২০২৪ সালে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতৃত্ব কিম জং উনের রেজোলিউশনটা একেবারে অন্যরকম। তার প্রাথমিক লক্ষ্য উত্তর কোরিয়াকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করে তোলা। আর সেই জন্য একেবারে আটঘাট বেঁধে রণে নেমেছে কিম। যা কার্যত চিন্তায় ফেলেছে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ গোটা বিশ্বকে। উত্তর কোরিয়ার মতো ছোট একটা দেশ এতটা সাহস দেখাচ্ছে কী করে? ২০২৪ সালে কী এমন হবে যার জেরে নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দু-বছর পার। সামরিক ভাঁড়ার ঢেলে সাজাতে তাই উত্তর কোরিয়ার কাছে সাহায্য চেয়েছে রাশিয়া। বিনিময়ে নিজেদের দেশের সামরিক শক্তি বাড়াতে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছে উত্তর কোরিয়া। যার মধ্যে একটি গুপ্তচর উপগ্রহ রয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর উত্তর কোরিয়া একটা স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে যার মধ্যে ধরা পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ছবি। দেশের সেই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ছবি অন্য দেশের নজরে। আর যে কারণে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। তাতেও কুচ পরোয়া নেহি কিম জং উন। রাশিয়া এবং চীনের মদতে কিমের বাড়বাড়ন্ত, সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোটা দুনিয়া।
সম্প্রতি এক বৈঠকে কিম জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে আরও জোরদার করতে হবে অস্ত্র-পরীক্ষা। কিন্তু কেন? কেন কিমের নজরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন? আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, কিম মনেপ্রাণে চাইছেন বাইডেনের মেয়াদ শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের গদিতে বসুক ট্রাম্প। তাহলে তাদের সামরিক শক্তি প্রসারের পরিকল্পনা আরও মজবুত হবে। কিম জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বন্ধু দেশগুলো উত্তর কোরিয়া বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে। এইমুহূর্তে যা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক দাপট যেভাবে বাড়ছে, সেই বিষয়টাকেই পাখির চোখ করেছেন কিম জং উন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহরা চাপে ফেলছিল উত্তর কোরিয়াকে। যে কারণে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে পাল্টা রুখে দাঁড়ায় উত্তর কোরিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বন্ধুদেশগুলোর বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজিয়েছে কিম। ইতিমধ্যেই পারমানবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্লুটোনিয়াম এবং ইউরেনিয়ামের মতো উপকরণ উৎপাদনে জোর দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রধান। এছাড়াও সাবমেরিন সক্ষমতা বাড়াতে এবং সশস্র ড্রোনের মতো অস্ত্র তৈরিতে জোর দিয়েছেন তিনি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার করে যুদ্ধের ব্লু-প্রিন্ট তৈরিতে চলছে তোড়জোড়। ইতিমধ্যেই রাশিয়াতে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র পাঠিয়েছে উত্তির কোরিয়া। হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত স্যটেলাইট চিত্রে সেই প্রমাণও পেয়েছে বাইডেনের দেশ। কিন্তু এটাও ঠিক যে, এটা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা নয়। গাফিলতি করলে চাপ বাড়তে পারে ভারতের ওপরও।
নিজেদের ক্ষমতায়নের জন্য চিন এবং রাশিয়ার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যে কারণে, ভারতের জন্যেও বিপদের ডঙ্কা বাজতে পারে। কিমের ক্ষমতা প্রতিরোধের জন্য আগামীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতও জোট বাঁধতে পারে, এমন ইঙ্গিতও মিলছে। সীমান্তেও যে জটিলতা তৈরি হবে, সে আশঙ্কাও করছে অনান্য দেশগুলি। কিমের মতো নেতার এই বাড়বাড়ন্ত বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য একটা বড়সড় হুমকি। যা দমাতে উদ্যোগী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বিরোধী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তবে নির্বাচনের আগেই কিমের বাড়বাড়ন্তের মোকাবিলা করতে পুরোদস্তুর প্ল্যান সাজাচ্ছে মোদী সরকার।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ