Start-Up Business
হোম ডেলিভারির জন্য যে জোম্যাটোর ওপর ভরসা করেন, সেই জোম্যাটো আপনাকে লাখপতি বানাতে পারে। তার জন্য থাকতে হবে জোম্যাটো অ্যাপ। আর সুস্বাদু রান্না করার সদিচ্ছে। যদি এই দুটো জিনিস একসঙ্গে করতে পারেন তাহলে জোম্যাটো আপনাকে মাসে লাখ টাকা আয়ের পথ খুলে দেবে। তাহলে কী করতে হবে তার জন্য? খুব বেশি বিনিয়োগ নয়। শুধু জানতে হবে কিভাবে আপনি ক্লাউড কিচেন হিসেবে নিজের ব্যবসাকে জোম্যাটোর সঙ্গে রেজিস্টার করানো সম্ভব। আসুন জেনে নিই।
যদি জোম্যাটোর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে খুলতে হবে ক্লাউড কিচেন। তার জন্য বেশ জুতসই একটা নাম বাছাই করে রাখবেন কিন্তু। সেই নাম দিয়ে আপনাকে জোম্যাটোতে রেজিস্টার করাতে হবে। তার সঙ্গে প্রয়োজন এফএসএসএআই-এর লাইসেন্স। এটা হচ্ছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া। সেখান থেকেই ক্লাউড কিচেন খোলার সময় অনুমোদন নেওয়া আবশ্যিক। অনলাইনে আবেদন করে সেই অনুমতি পেয়ে যেতে পারেন। খরচ হতে পারে দেড় হাজার টাকা মত। অনুমোদন করলে স্বীকৃতি আসতে সময় লাগবে ঐ ৮ থেকে ১০ দিন মতন।
এরপর আপনাকে জোম্যাটোয় রেজিস্টার করতে হবে। তার জন্য এই ফুড সেফটির যে অনুমোদন আপনি পেয়েছেন তার একটা জেরক্স কপি, জিএসটি নম্বর, প্যান কার্ডের জেরক্স, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস, কী কী খাবার রাখবেন তার মেনু আর পছন্দসই কিছু খাবারের ছবি। এই সবগুলো নিয়ে আপনাকে জমা দিতে হবে জোম্যাটোর কাছে। তারপর কোম্পানির তরফ থেকে পর্যালোচনা করা হবে। এই পুরো প্রসেসটা হতে সময় লাগবে ১৮ থেকে ২০ দিন মত। এটা হয়ে গেলেই জোম্যাটো আপনাকে ব্যবসা দেওয়া শুরু করবে।
আচ্ছা, একটা বিষয়। সময় মত রান্না করে দেবেন, খাবারের স্বাদ ভালো রাখবেন, আর সুন্দর করে প্যাক করে দেবেন। জোম্যাটোর যে টেপ লাগানো থাকবে সেটা দেওয়া হবে কোম্পানির তরফ থেকে। জোম্যাটো থেকে টাকা পাবার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য কোম্পানিকে দিয়ে রাখবেন। প্রতি অর্ডারে কোম্পানি ১৫% কমিশন নেয়। তাই দাম কত রাখবেন সেদিকে খেয়াল রাখবেন। হিসেব আপনিই করে দেখুন না। দিনে যদি ৩০ টা অর্ডার পান আর দাম ১০০ টাকা দাম রাখেন তাহলে মাসের শেষে আপনি আয় করবেন ৯০ হাজার টাকা। বুঝতে পারলেন তো? এবার করবেন কিনা সেটা আপনার ব্যপার।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ