Trending
অতিমারির জোড়ালো কামড়ে ক্ষতবিক্ষত চাকরির বাজার। আয়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষের সংসারে নামে ঘোর অনিশ্চয়তা। কিভাবে চলবে আগামী দিনগুলো? এই প্রশ্নটাই যখন কাজ হারানো মানুষগুলোকে দিশাহীন করে তুলছিল ঠিক তখনই দিশা ফিরিয়ে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাল অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটো। যার হাত ধরে আবারও হাজার হাজার বেকার মানুষগুলো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলেন। শক্ত হাতে ধরলেন সংসারের হাল।
কেউ যাচ্ছেন সাইকেলে, কেউ যাচ্ছেন বাইকে। দরজায় দরজায় খাবার পৌঁছে দিয়ে নিজের ঘরের চাল, ডালের সংস্থান করছেন অনেক জোম্যাটিয়ান। এই যেমন শচীন ঘোষ। মধ্যবিত্তের সংসার। নিজের বাবাকে অর্থনৈতিকভাবে সাপোর্ট করার জন্য জোম্যাটোকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
ইনি শঙ্কর দাস। কলেজে পড়ার পাশাপাশি জোম্যাটোর হাত ধরে আজ খুঁজে পেয়েছেন আয়ের দিশা। বন্ধুর রেফারেন্সেই তিনি হয়ে উঠেছেন জোম্যাটিয়ান।
সংক্রমণের ভয়ে হোটেল-রেস্তরাঁয় ভিড় কমেছে আগের থেকে অনেকটাই। তাই খাদ্যরসিকদের জন্য বড় ভরসার জায়গা তৈরি করেছে জোম্যাটো। অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ার ফলে হোটেলগুলিতে যে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারত, সেই সংকট মোচনে অনেকটাই সাহায্য করেছে এই সংস্থা।
আর জোম্যাটোর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বারাসাত পুরসভার মুখ্য প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অশনি মুখার্জী। কর্মসংস্থানের এই নয়া দিশা যে আদতে বেকার মানুষের আর্থিক মেরুদণ্ড অনেকটাই শক্ত করছে সেই কথাও স্বীকার করে নিলেন তিনি।
সংস্থা যেমন নিজের খেয়াল রেখেছে, তেমনই রেখেছে কর্মীর খেয়ালও। তাই ভ্যাকসিনের আকাল যেখানে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার রেখাকে আরও গভীর করে তুলেছে তখন ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে জোম্যাটো। আর তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন আরেক জোম্যাটিয়ান কুণাল বিশ্বাস। বহু বেকার মানুষ জোম্যাটোর সঙ্গে যুক্ত হবার জন্য আজকাল প্রতিযোগিতাও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। তাই বিজনেস প্রাইম নিউজের কাছে তিনি রাখলেন একটি অনুরোধ।
লকডাউন, অতিমারিতে সংসার চালিয়ে নেওয়ার রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন কুণাল, শচিন, শঙ্করের মত আরও অনেকেই। অন্যের দরজায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। আর তাই নিজের ঘরের উনুনেও ফুটছে ভাত। তাই হয়ত বলাই যায়, জোম্যাটো পাশে থাকলে বেকারত্বও ঘুচবে।
অঙ্কিত মুখার্জী, উত্তর ২৪ পরগনা