Daily

পরিস্থিতির বিচারে মশা মারতে কামান দাগার মত মনে হলেও নবান্ন কোনদিক থেকেই তা অবহেলা করতে চায়না। করোনার মধ্যেই কেরলে জিকা ভাইরাসের ভ্রুকুটি। সেখানে এক ব্যক্তির দেহে জিকা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার খবরে শীলমোহর দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে বাংলার নবান্ন। জিকা ভাইরাসের ত্রাসের কথা স্মরণ করে পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে নবান্ন। ইতিমধ্যে নবান্ন থেকে প্রত্যেক জেলা শাসকের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। যদি কোন ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তবে যেন স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, জিকা হল একটি মশাবাহিত রোগ। মশার কামড় থেকে এই রোগ ছড়ায়। যার মধ্যে এডিস মশাই হল জিকা ভাইরাসের প্রধান বাহক। চিকুনগুনিয়ার মত প্রায় একই ধাঁচের উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় এই রোগের ক্ষেত্রেও। তবে যেহেতু গর্ভবতী মহিলাদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের দিকেই বেশি নজর দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২৪ বছর বয়সী এক গর্ভবতী মহিলার শরীরে জিকা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁকে তিরুবনন্তপুরমের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেই এলাকার ১৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। তবে যত যাই হোক, করোনার ধাক্কা সামলে ওঠার পর আবার জিকার ধাক্কা যাতে বাংলাকে কাবু করতে না পারে, সেদিকেই লক্ষ্য রেখেছে নবান্ন। আর সেই অনুযায়ী শুরু করে দিয়েছে আগাম প্রস্তুতি।
ব্যুরো রিপোর্ট