Daily

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও ভারতের চিকিৎসা পরিকাঠামোর করুন চিত্রটা। ঘাটতির তালিকা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন, বেড, সেফ হোম কি নেই সেই তালিকায়? নেই করোনা আক্রান্তদের জন্য প্রাথমিক পরিষেবা গুলোও।
না একেবারেই শহরতলির চিত্র এটা নয়। কারণ শহরের মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু অন্তত পাচ্ছেন। কিন্তু কেমন আছেন গ্রামের মানুষজনেরা? কিভাবে কাটছে সেফ হোম না থাকা কোনো এক গ্রামের করোনা আক্রান্তের আইসোলেশন পিরিয়ড? শুনুন। জানুন। আর দয়া করে সতর্ক হন।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা মাথায় রেখে কখনও বা শৌচালয়ে, কখনো খোলা মাঠে আবার কখনও গাছের ডালে অস্থায়ী মাচা করেই রাত কাটাতে হচ্ছে বহু করোনা সংক্রমিতদের। বাড়িতে আলাদা ঘরের অভাব। গ্রামে আইসোলেশন সেন্টারের অভাবে কোঠানন্দিকোন্ডা গ্রামের করোনা আক্রান্ত শিবার (১৮) বর্তমান আশ্রয়, গাছের ডালে মাচা। গত ৪ মে করোনায় আক্রান্ত হয় সে। যদিও এই ছবি অচেনা নয়। ঘটনা বিশেষে পরিবর্তিত হয় অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টারের নমুনাগুলো।
প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যেতে হয় শুধুর ৫কিমি পথ, আর হাসপাতাল? সে তো নাগালের বাইরে, ৩০ কিমি দূর! তাই অগত্যা রণে নামলো বাংলার গ্রামের শিবারা। দুদিন আগে গ্রামেরই একটি হোস্টেলে তৈরি করলো আইসোলেশন সেন্টার।
আপনাকে, আমাকে, আমাদেরকে সচেতন করতে বারবার মাঠে নেমেছে হাজার হাজার শিবা। আর শিকার হচ্ছে দানব করোনার। তাদের প্রতি আমরা মানবিক হতে পারছি কি? বিবেচনা করুন আপনারাই।
ব্যুরো রিপোর্ট