Daily

আপনার কি অক্সিজেন চাই? কিংবা রাতবিরেতে ওষুধ দরকার? চিন্তা নেই এক ফোনেই ‘অক্সিজেন ম্যান’ হাজির হবেন আপনার বাড়িতে। সকাল-দুপুর-রাত সময়ের কোন বাধা নেই তাঁর জীবনে। কারন সে জীবসেবার মন্ত্রে দীক্ষিত।
করোনা আক্রান্ত রোগী হন কিংবা অন্য রোগে আক্রান্ত, প্রয়োজন অক্সিজেনের। নিমেষে সাইকেলে করে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিয়ে হাজির হবেন গোসাবার বালি দ্বীপের ৫ নম্বর গ্রামের সৌমিত্র। সৌমিত্র না বলে বোধ হয় অক্সিজেন ম্যান বললে চিনতে সুবিধে হবে আপনাদের। গোসাবা সহ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে অক্সিজেন তো দূর, সঠিক চিকিৎসা পরিকাঠামই নেই।তাই চোখের সামনে মৃত্যু দেখেছেন অনেক। তবে ভেঙ্গে পড়েননি তিনি। একটা সাইকেলে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর চাপিয়ে চলে যাচ্ছেন দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে। সৌমিত্র-র কাজে আপ্লুত এলাকার বিডিও অফিসার। খুশি হয়ে নিখরচায় খেয়া পারাপারের অনুমতিও দিয়েছেন তাকে, সাথে প্রশংসায় ভরিয়েছেন তাকে।
পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক বছর ২৯ এর সৌমিত্র। অতিমারিতে চাকরিটুকুও নেই। দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে তাকে, আক্রান্ত হয়েছেন ডাইয়াবেটিসে। কিন্তু বারুদকে কি আর দমিয়ে রাখা যায়? আজ না হোক কাল সে জ্বলবেই। তাই নিজের শারীরিক অসুস্থতার দোঁহাই দিয়ে ঘরে বসে থাকেনি সে। দুঃস্থ মেধাবি শিশুদের স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে তাদের বেতন কিনবা বিনা খরচে ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে সে। কারন কর্মই ব্রহ্ম।
যে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছে মানবসেবায় তাকে প্রশংসা করার মত ধৃষ্টতা আমাদের নেই। কুর্নিশ জানাই এই মহাত্মাকে।
ব্যুরো রিপোর্ট