Trending
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ আমরা অনেকেই পড়েছি। বইটা পড়লে একটা বিষয় পরিষ্কার হয় যে, শুধু স্যালারির ওপর নির্ভর করে কখনোই ইমেন্স ওয়েলথ থাকা পসিবল না। তার জন্য যা প্রয়োজন, সেটা হল অ্যাসেটস। অ্যাসেট কি? অ্যাসেট সেটাই, সময় খরচ না করিয়ে যা আপনার জন্য টাকা রোজগার করে দেবে। আজ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরব এমন ৫টা পয়েন্ট, যার মাধ্যমে আপনিও ধনী হতে পারবেন। তবে একটা বিষয়। এই প্রতিবেদনটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যারা সদ্য রোজগার করে অ্যাসেটের কথা ভাবছেন।
পয়েন্ট ওয়ান- STOCKS
মানে, স্টকস অফ কোম্পানিজ। যখনই আপনি কোন কোম্পানির স্টক কিনছেন, আপনি সেই কোম্পানির ওনারশিপও কিনছেন। তারপর কোম্পানি যত বাড়বে, ততই স্টক প্রাইজ বাড়বে। আর যত স্টক প্রাইজ বাড়বে, আপনার ওনারশিপের ভ্যালু ততই বাড়বে। কিন্তু এটার জন্য আপনাকে কোন পরিশ্রম করতে হচ্ছে না। হ্যাঁ, এটা যেমন আপনার জানা প্রয়োজন যে আপনি কোন কোম্পানির স্টকস কিনছেন, কত টাকায় কিনছেন, কত টাকায় বেচবেন… যদি আপনার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এটা বাদ দিয়ে, যে হার্ড ওয়ার্ক, সেটা আপনি করছেন না। সেটা আপনার জন্য ঐ কোম্পানির পুরো টিম করছে। হ্যাঁ, ভুল- হতেই পারে। সেটা তো নিজের হাতে থাকলেও হতে পারে, তাই না। সুতরাং অন্যের উপর বিশ্বাস রেখে যদি স্টকসে মনযোগী হন, তাহলে এই পয়েন্টটা ভেবে দেখতে পারেন।
নম্বর ২- PORTFOLIO OF STOCKS
স্টকে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। কোন কোম্পানির স্টক কখন কিনব? সবাই তো আর ওয়েল রিসার্চড হয় না। আমি আপনি হয়ত সেই পয়েন্টে নেই যে জানি মাল্টিব্যাগার্স কাকে বলে, বা কোন স্মল ক্যাপ কোম্পানিতে এখন স্টক কিনলে সেটা যখন পরে মিড ক্যাপ বা লার্জ ক্যাপ হবে তখন অনেকটাই লাভবান হব। তাই ইন্ডিভিজুয়াল কোন কোম্পানির স্টক নয়। ভরসা রাখা যাক, পোর্টফোলিও অফ স্টকস। মানে আপনি অত রিসার্চ করছেন না, কিন্তু একটা থিসিসে ভরসা রাখছেন। একটা এগজ্যাম্পল, আমি জানি না কোন কোম্পানির স্টক কিনলে আমি প্রফিট করব। কিন্তু আমার ইন্ডিয়ার ওপর ভরসা আছে যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি আরও পাকাপোক্ত হবে সুতরাং ভারতের কোন কোম্পানির স্টকই আমি কিনব। সুতরাং ইনভেস্ট করা যাক ইন্ডিয়ার স্টক মার্কেটে বা একটা ক্লাসিক মিউচুয়াল ফান্ড ইনভেস্টমেন্ট। যেখানে আপনি অন্যের রিসার্চ কেপাবিলিটির ওপর ভরসা রাখছেন।
নম্বর ৩- COMMODITIES
একটা সময় ছিল যখন নিজের ধন সম্পদ বাড়ানোর জন্য সোনা, হিরে এগুলোর সাহায্য নেওয়া হত। যার যত বেশি, সে তত ধনী। তো সেক্ষেত্রে এখন আপনারা যারা সদ্য রোজগার করা শুরু করেছেন, তারা ডিজিটাল লোনের কথা ভাবতে পারেন। ডিজিটাল গোল্ড এই কারণেই, যে এখানে সময়ের সঙ্গে ডিডাকশন হওয়ার কোন জায়গা নেই। ডিজিটালি কিনুন, তারপর ফেলে রাখুন। কারণ এটা স্টেবল।
নম্বর ৪- COMMERCIAL REAL ESTATE
মাথায় রাখবেন, আপনি যে বাড়িতে রয়েছেন সেটা আপনার কাছে একদিক থেকে অ্যাসেট ঠিকই, কিন্তু আপনি তাকে নিশ্চয়ই বেচতে চাইবেন না। রিয়াল এস্টেট অ্যাসেট মানে সেটাই যা ইনকাম জেনারেট করে। তাই মাথায় রাখতে পারেন কমার্শিয়াল রিয়াল এস্টেটের কথা। ছোট জায়গা কিনে নিয়ে সেটা এটিএমের জন্য বা কোন দোকানের জন্য ভাড়া দেওয়া যেতে পারে, বা যদি আরেকটু বড় হয় তাহলে অফিস পারপাসে ভাড়া দেওয়া যেতে পারে। মানে, আপনার হাতে যদি টাকা থাকে তাহলে কমার্শিয়াল রিয়াল এস্টেট দারুণ একটা অপশন হতে পারে।
নম্বর ৫- SELL YOUR OWN WORK
আমরা এখন এমন একটা টাইম জোনের মধ্যে রয়েছি, যে আমরা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু করতে পারব। আর যেটা করতে পারব, সেটা অন্যকে দেখাতেও পারব। তারও মূল্য আছে। মানে আপনি যদি কনটেন্ট রাইটার হন বা আপনি যদি এডিটর হন বা আপনি যদি গান করেন, এই সবকিছুর মাধ্যমেই আপনি নিজের ভ্যালু ক্রিয়েট করতে পারবেন। কারণ, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির ভ্যালু সবসময় ওয়েলদি করে তোলারই চেষ্টা করে।
যে পাঁচটা অ্যাসেটের কথা বললাম, এগুলো আপনাকে ধনী হতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে আপনার ভবিষ্যতের আর্থিক অনিশ্চয়তাকে অনেকটাই নিশ্চয়তা দেবে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সঙ্গে দেখতে থাকবেন আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ। আমি পৌলমি, আজকের জন্য সাইনিং অফ।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ