Story
বাড়ি তো আমরা প্রত্যেকেই করি। বাড়ি তো আমরা প্রত্যেকেই থাকি। কারুর আছে বিলাসবহুল। কারুর আবার প্রাসাদের মত। তবে বাড়ি কিন্তু আমাদের প্রত্যেকেরই আছে। কিন্তু আজ, এখন যে বাড়িটা আপনাদেরকে দেখাব সেই বাড়ি তৈরি করতে বুরজ খলিফার থেকেও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। আর বুরজ খলিফা তো কলকাতায় দেখেছেন। দেখেছেন কত ভিড়। তাহলে ভাবুন তো যে বাড়িটা ৩৬৫ দিন দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই বাড়িতে কত লোক ভিড় জমাবে।
দেখুন এই মুহূর্তে স্ক্রিনে আপনারা যে বাড়িটা দেখছেন এটাই হল সেই বাড়ি যার কথা এতক্ষন ধরে বলছিলাম। ঠিকানা নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে। আর মালিকের নামটাও সঙ্গে। বন্ধুরা হ্যাভ সাম পেশেন্স।
এই বাড়িটির নাম অ্যান্টিলিয়া। রয়েছে মুম্বই শহরে। আর বাড়ির মালিকের নামটা জানেন তো? রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ অম্বানি। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাড়িটির ফিচার।
মাত্র পাঁচজন লোকের জন্য মুকেশ অম্বানি ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে ৪৮ হাজার স্কোয়ার ফুটের উপর বানিয়েছেন সাধের অ্যান্টিলিয়া। এই বাড়িটিতে রয়েছে মোট ২৭টি তলা। বাড়িটির উচ্চতা ৫৭০ ফুটের কাছাকাছি। বাড়িটি ২০০৬ সালে তৈরি হওয়া শুরু হয়। শেষ হয় ২০১০ সালে। মিঃ অম্বানি এই বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন ২০১২ সাল থেকে। বাড়িটিতে কিনা রয়েছে। তিন তিনটি হ্যালিপ্যাড। ১৭০টি গাড়ি রাখার পারকিং প্লেস। তিনটি সুইমিং পুল। সেলুন। মুভি থিয়েটার। বড় লাইব্রেরি। জিম সেন্টার। বল রুম তো আছেই। রয়েছে স্নো রুম পর্যন্ত। বাড়িতে বসেই আপনি সিমলায় বরফ ছোঁড়ার অনুভূতি পাবেন। সবথেকে বড় কথা- এই বাড়িটি দেখাশোনা করার জন্য রয়েছেন ৬০০ জন কর্মচারী।
কি বলেছিলাম তো যে চক্ষু চড়কগাছে উঠবে। বাড়ি হো তো অ্যায়সা। সবথেকে বড় কথা আপনার আমার বাড়ি যখন ভূমিকম্পে গুঁড়িয়ে যাবে তখন খোদ মুম্বইতে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৮-এ পৌঁছে গেলে অ্যান্টিলিয়ার গায়ে আঁচড়টি পড়বে না। ভাবুন। মোগল বাদশাহদের বিলাসিতার কথা আমরা অনেকেই জানি। মিঃ অম্বানি যে বাদশাহদের থেকেও কোন অংশে কম যান না অ্যান্টিলিয়া নির্মাণের ইতিহাসটাই সে কথা বলে দিচ্ছে। কি ভালো লাগল না ভিডিওটা? মনে হতেই পারে, আমারো যদি এরকম হত ভালোই হত। আপনিও বানাতে পারেন আপনার স্বপ্নের বাড়ি। যদি আপনার ইচ্ছা, লক্ষ্য এবং পরিশ্রম তিনটেই একই রেখায় থাকে। নতুন ভিডিওর সঙ্গে পুরনো সেই একটা কথা আবারো মনে করিয়ে দেব আপনাদের। লাইক করুন। শেয়ার করুন। সাবস্ক্রাইব করুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। বেল আইকনটি প্রেস করতে কখনো ভুলবেন না।
ব্যুরো রিপোর্ট