Daily

সরকারের দরজায় কড়া নেড়েছেন তিনবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই পরিবার চালাতে একমাত্র ভরসা দিনমজুরী। ২০১৮ সালে ব্লাইন্ড ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারায় ভারত। আর এই বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম প্রধান কারিগর গুজরাতের নরেশ তুমডারের আর্থিক সংকট এতটাই চরমে পৌঁছে গিয়েছে যে বর্তমানে তাঁকে বেছে নিতে হয় দিনমজুরের কাজ। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমত হতবাক নেটিজেনরা।
সূত্রের খবর, ভারতকে বিশ্বজয়ী করানোর পরে গোটা দেশ ক্রিকেটারদের প্রশংসায় মেতে ওঠে। বাদ যাননি কেন্দ্রীয় নেতামন্ত্রীরাও। তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাশাপাশি সাক্ষাৎ হয়েছিল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও। সেইসময় মিলেছিল চাকরির প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সেই কথার আর কোন সার খুঁজে পাচ্ছেন না নরেশ। যে কারণে গত লকডাউনে যেমন বাধ্য হয়েই আনাজ বিক্রি করতে হয়েছিল নরেশকে তেমনই এই বছর পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেবার জন্য দিনমজুরের কাজকেই বেছে নিতে হয়েছে তাঁকে।
নরেশ জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে একমাত্র রোজগেরে বলতে তিনি একাই। কারণ, নরেশের বাবা-মা দুজনেরই রয়েছে বার্ধক্যভার। যে কারণে তাঁদের পক্ষে রোজগার করার সম্ভাবনা নেই। সে কারণে নরেশকেই ধরতে হয়েছে পরিবারের হাল। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও তিনবার চাকরির আশায় কড়া নেড়েছেন। কিন্তু তিন বছর সবুর করেও মেওয়া ফলেনি। তাই বাধ্য হয়েই দিনমজুরের কাজ করে পেট ভরাতে বাধ্য হচ্ছেন নরেশ।
ব্যুরো রিপোর্ট