Trending
স্বপ্নভঙ্গ ১৪০ কোটির। স্বপ্নভঙ্গ হল? ষড়যন্ত্র করে স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া হল? নিজের অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপ জেতা হয়নি বলেই কি রোহিতকে বিশ্বকাপ জিততে দিলেন না বিরাট? হঠাৎ কেন ফিকে হয়ে গেল ভারতীয় বোলিং আক্রমনের ঝাঁঝ? তাহলে কি সত্যিই অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য নন রোহিত শর্মা? নাকি এক্ষেত্রেও ম্যাচ ফিক্সিং-এর গল্প? ভারতের হেরে যাওয়ার নেপথ্যে আসল কারণটা কী? জানব আজকের প্রতিবেদনে।
এরপর দেখুন, ভারতের পরাজয়ে কতটা উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান… দেখুন নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে কীভাবে ভারতীদের কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়েছেন পাক ক্রিকেটার আফ্রিদি। একজন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট আইকনের এইধরণের আচরণ?
পড়শি দেশের কথা বাদ দিন। নিজের দেশের মানুষের একী আচরন? সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করলেই ট্রল? ভারতের পরাজয়ে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের এইধরনের উচ্ছ্বাস থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু নিজের দেশের মানুষ? তারাও কী ছেড়ে কথা বলছে? একটা ম্যাচের পরাজয়ে রীতিমত কাঠগড়ায় তুলছে টিম ইন্ডিয়াকে। ভিডিও-র শুরুতে যে প্রশ্নগুলো শুনলেন, সেগুলো এই দেশেরই কিছু সাধারণ মানুষের তোলা প্রশ্ন। আপাতত যারা সোশ্যাল মিডিয়া বা হোয়াটস ইউনিভারসিটিতে আলোচনা সভা বসিয়েছেন। এখানে সবাই কী-বোর্ড যোদ্ধা সেজে বিবেক বেচে। ঠিক যেমন গো-অ্যাজ উইকে সাজা হত। সবার সব বিষয়ে পক্ষ বাছা শেষ। সবাই শুধু হার্ড লাইনার।
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মিমের বন্যা। শুধু ট্রলিং। নিশানায় মেন ইন ব্লু। দশটা ম্যাচের নটা-তেই যে টিম দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তাদেরকে নিয়েই আলোচনা, পর্যালোচনা আর সমালচনার খড় তুলেছে গোটা দেশ। চায়ের কাপে বিস্কুট ডুবিয়ে চলছে টিম ইন্ডিয়াকে ক্রুশবিদ্ধ করা। যে সময়টায় ওদের পাশে দাঁড়ানটা সবচেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট, সেই সময়টায় এই দেশের কিছু মানুষ তাদের নিয়ে ট্রল করছে। আরও কিছু মানুষ সেগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন! বিশ্বাস করুন, ১৪০ কোটি মানুষের আশা-ভরসা, ১.৫ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি- সবটা মিলিয়ে সাংঘাতিক প্রেশার ফিল হয়। সেটা বোঝার মতো মানসিকতা নিশ্চয়ই আছে। বিবেক-বিবেচনাকে যখন-তখন পণ্য করা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়াতে সব বিক্রি করা যায় বলে মানবিকতাকে পণ্য করবেন না প্লিজ।
হেরে গেলেই মহম্মদ শামি হয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানের দালাল? বিরাটের পারফরম্যান্স নিয়ে চলছে কুরুচিকর মন্তব্য? রোহিত শর্মার ক্যপাটেন্সি কাঠগড়ায় উঠে পড়ছে? এগুলো জাস্ট মজার ছলে? জাস্ট এমনি? ক্রিকেট একটা শিল্প। শিল্পের পর তো ইমিটেশন আসে। অথচ মজার আড়ালে যে ঘৃণার বাতাবরণ ছড়াচ্ছে দেশে। আর ঘৃণার পর কী আসে বলুন তো? তীব্র ঘৃণা। শিল্পকে ইমিটেশন পড়াবেন নাকি ঘৃণার অন্ধকারে ঢাকবেন, সেই চয়েস একেবারেই আপনার ব্যক্তিগত।
তবে হ্যাঁ। এসবের বাইরেও কিছু প্রশ্ন তো থেকেই যাচ্ছেই। ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। প্রশ্ন থাকছে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে। প্ল্যানিং নিয়ে। বাকী নটা ম্যাচের সেই আগুন দেখা যায়নি ফাইনালের ম্যাচে। সেটা কেন? অশ্বিনের মতো পোড় খাওয়া স্পিনারকে এইদিন মাঠে নামান হল না কেন? কেন অতিরিক্ত রান গলিয়ে দেওয়া হল অস্ট্রেলিয়াকে? তাহলে কী সত্যিই বড় ম্যাচের চাপ নিতে ব্যর্থ মেন ইন ব্লু? প্রশ্ন থাকছে, প্রশ্ন উঠবে। এসবের মধ্যেই চলতে থাকবে ভারতীয়দের ক্রিকেট ক্রেজ। আগামী বছর টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ। এখন টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপে টিম ইন্ডিয়া কেমন ঝড় তোলে, ময়দানে কতটা দাপট দেখাতে পারে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ক্রিকেট ভক্তরা,
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ