Trending
কারুর বাড়ির সামনে পড়ে আছে বেশ কিছুটা জায়গা। তো কারুর রয়েছে বাড়ি লাগোয়া পুকুর। যা মিশ্র চাষের জন্য হতে পারে আদর্শ। এবার সেই পড়ে থাকা জমি বা পুকুরকে চাষের কাজে লাগিয়ে মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তুলতে উদ্যোগী হল কৃষি দফতর। শুরু হল ট্রেনিং।
নদীয়া জেলার চাকদহ ব্লকের চাঁদুরিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রাম। এই গ্রামেই মহিলাদের প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে তিনটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩০ জন মহিলা টানা ছয় সপ্তাহ ধরে প্রশিক্ষণ নেবেন। শিক্ষকের জায়গায় থাকবেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। আর পড়ুয়ারা হলেন বাড়ির গৃহবধূরা। ভরা সংসার সামলেও যারা পড়ে থাকা জমি বা পুকুরকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে ওঠার গরজ দেখালেন।
কিন্তু মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য হঠাৎ এই গ্রামকে বেছে নেওয়ার কারণ কী? শুনে নেব চাকদহ ব্লকের ব্লক টেকনোলজি ম্যানেজার পায়েল ব্যানার্জির মুখ থেকেই।
সংসার সামলেও মিশ্র চাষ করে বাড়ির মহিলারা স্বনির্ভর হতে পারবেন। শুধু দরকার সঠিক প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ। তাই এই প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা। গৃহবধূদের মাছ চাষ থেকে হাঁস, মুরগি পালন এমনকি বিভিন্ন চাষের পরামর্শও দিচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
কৃষি দফতরের আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দেওয়া হচ্ছে মাছের চারা। হাঁস বা মুরগির বাচ্চা। কখনো বা বীজ। যা হাতে পেয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবার দিশা খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা।
ঘরে যারা লক্ষ্মী তারাই আসলে দশভুজা। নাহলে সংসার সামলে প্রশিক্ষণ নিতে তাঁরা এতো আগ্রহী হন। এই প্রশিক্ষণ নিয়েই রোজগারের রাস্তাটা অনেক পরিষ্কার হয়ে যাবে তাঁদের কাছে। পড়ে থাকা জমি বা পুকুর যে গৃহবধূদের স্বনির্ভর করে তুলবে সেই বিষয়ে তাঁরা আগে তেমন একটা জানতেন না। কৃষি দফতরের সহায়তায় আজ তাঁদের আত্মনির্ভর হওয়া কোন ব্যপারই না। প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি কৃষি পাঠশালায় পড়তে আসা গৃহবধূরা।
দেবস্মিতা মণ্ডল
চাকদহ