Daily
বাংলা, সুজলা সুফলা তো বটেই! একইসাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটির শিল্পেও যে সমৃদ্ধ, সে সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত। গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে হরেক রকমের শিল্পের বাস। এই যেমন ধরুন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের মালহার গ্রাম পঞ্চায়েতের পলিহার গ্রাম। যেখানে বংশ পরম্পরায় বেশ কয়েকটি পরিবার নারকেলের ঝাঁটা তৈরি করে সংসারের হাল ধরেছেন। চলুন, একবার ঘুরে আসা যাক পলিহার গ্রামের কর্মকার পাড়া থেকে।
কথায় আছে, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এক্ষেত্রেও সেটাই ঘটছে। সংসারের কাজ সামলে দুটো বাড়তি পয়সা রোজগারের আশায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে এসেছেন তারা। গ্রামের মহিলারা জেলা সদর রায়গঞ্জ থেকে কুইন্টাল হিসেবে নারকেলের কাঠি কিনে নিয়ে আসেন। এরপর ঘরে বসেই চটজলদি বানিয়ে ফেলেন নারকেল কাঠির ঝাঁটা। দিনে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টা ঝাঁটা বানান তারা। ঝাঁটা বানাতে ম্যাক্সিমাম ৩০ মিনিট সময় লাগে তাদের।
ঘরে বসে নারকেল কাঠির ঝাঁটা তৈরি করে মাসে কমবেশি ভালোই লাভ হয় তাদের। আর নিজেদের হাতে ঝাঁটা তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করেন দুর্গাপুর, কুনোর সহ বিভিন্ন হাটে, একেবারে পাইকারি দামে।
নিজেদের সংসারের কাজ সামলে বাড়ির মহিলারা যেভাবে বাংলার এই শিল্পকে আগলাতে এগিয়ে এসেছেন, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। যদিও তারা মনে করেন, সরকারি সাহায্যও পেলে যে শিল্পের কদর করবে সাধারণ মানুষ। তাই এখন সরকারি সাহায্যের আবেদন করছেন তারা।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর